You dont have javascript enabled! Please enable it! District (Jessore) Archives - Page 26 of 40 - সংগ্রামের নোটবুক

আগস্ট মাসে আমার মেয়ে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে অনুরোধ করে

এপ্রিলে পাকবাহিনী যশোর পুরোপুরি দখল করে নেয়। আমরা পালিয়ে যাই গ্রামে। সেখান থেকে ভারতে যাবার পথ না পেয়ে পুনরায় শহরে ফিরে আসি। জুলাই মাসের ১৭ তারিখে পাকসৈন্যরা আমাকে ডাক্তার খানা থেকে ধরে নিয়ে যায়। প্রথমে সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়ে ব্রিগেডিয়ারের সামনে হাজির করে।...

৭১ থেকেই যশোর কুষ্টিয়া পাবনা এলাকা ছিল মাওবাদী

৭১ থেকেই যশোর কুষ্টিয়া পাবনা এলাকা ছিল মাওবাদী নক্সালদের ( পূর্ব পাকিস্তান কম্যুনিস্ট পার্টি হক মতিন গ্রুপ) এলাকা। তাদের এ আধিপত্য অব্যাহত ছিল সর্বহারা নামে ১৯৯৬ পর্যন্ত। তারপরও থেমে ছিল না বিভিন্ন গ্রুপের নাম দিয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল আরও অনেক দিন। তাদের...

ধরা পড়ার পর আমাকে ফিল্ড ইন্টেলিজেন্সের কাছে অর্পণ করা হয়।

২০ শে মে ধরা পড়ার পর আমাকে ফিল্ড ইন্টেলিজেন্সের কাছে অর্পণ করা হয়। সেখানে হাবিলদার মেজর মাসুদ প্রথম লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার শুরু করে। পরে শরীরের সমস্ত জামা কাপড় খুলে চিৎ করে ফেলে পায়ের তলাতে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার শুরু করে। সারাদিন অভুক্ত অবস্থাতেই এই প্রহার চলে। এরপর...

রাত আটটার পর প্রতিদিন ৪/৫ জন করে হত্যা করে পুঁতে রাখে।

         ১৯৭১ সালের ১৫ ই অক্টোবর ২০/২৫ জন পাক মিলিটারী রাত প্রায় ১১ টায় আমাদের বাড়িতে চলে যায়। আমাদের বাড়ী ঘেরাও করে আমাকে নাম ধরে ডাকলে আমি ঘর হতে বেরিয়ে আসি। সঙ্গে সঙ্গে দুজন পাকসেনা আমার দুহাত ধরে ফেলে এবং গামছা দিয়ে পিঠমুড়া করে দুহাত বেঁধে ফেলে দেয়। তারপর ঘরের...

ছেলেটির শেষ কথা ছিলো “মা, স্বাধীনতা দেখে যেতে পারলাম না”।

         ৩০ শে মার্চ যখন গোলাগুলি শুরু হয় যশোর ক্যান্টনমেন্টে সেই সময় আমি হাসপাতালে ডিউটিরত ছিলাম। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ৬/৭ জনের এক পাঞ্জাবী দল হসপিটালে আসে এবং বলে তোমরা বন্দী।          ৩০ তারিখের পর হতে প্রতি রাতে ৭/৮ বার করে হসপিটাল চেক করতো। তারা বলতো যে কোন...

1971.07.26 | পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অভ্যর্থনা কেন্দ্রের ছবি

২৬ জুলাই ১৯৭১ঃ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অভ্যর্থনা কেন্দ্রের ছবি আইএসপিআর থেকে সকল পত্রিকায় প্রকাশের জন্য যশোরের ঝিকরগাছার অভ্যর্থনা কেন্দ্রের ছবি দেয়া হয় যেখানে প্রত্যাগতদের রেশন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন বিদেশী বার্তা সংস্থাকে প্রচারের জন্য তাদের বানানো ফুটেজ...

1971.07.24 | মুক্তিবাহিনীর হাতে তিন দিনে ১৬০ জন খান সেনা খতম | দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

মুক্তিবাহিনীর হাতে তিন দিনে ১৬০ জন খান সেনা খতম স্টাফ রিপাের্টার  শুক্রবার মুজিবনগর সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেল গত তিনদিনে বাংলাদেশের কয়েকটি রণাঙ্গনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিফৌজ গেরিলা লড়াইয়ে হানাদার পাকবাহিনীর ১৬০ জন সৈন্যকে খতম করেছে। এছাড়া মুক্তিফৌজের...

যশাের-খুলনা-পাকিস্তানি বাহিনীর প্রতি আক্রমণ ও যশােরের পতন

যশাের-খুলনা নিজ শক্তি ও শত্রু শক্তির পরিসংখ্যান ই.পি, আর বাহিনীর ৩নং সেক্টর সদরের অবস্থান ছিল যশাের শহরে। সেক্টর অধিনায়ক ছিলেন পাঞ্জাবি লে, কর্নেল আসলাম খান এবং উপ-অধিনায়কও ছিলেন একজন অবাঙালি মেজর সরদার আবদুল কাদের। সেক্টর সদরে ছিল একটি সিগন্যাল কোম্পানি ও একটি...