You dont have javascript enabled! Please enable it! District (Bogra) Archives - Page 19 of 25 - সংগ্রামের নোটবুক

বৃহত্তর বগুড়া জেলার সশস্ত্র যুদ্ধ

বৃহত্তর বগুড়া জেলার সশস্ত্র যুদ্ধ মাটিডালীর অভিযান ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের ক্যাম্প অথবা সদর দপ্তর স্থাপন করতাে কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের বিশাল জায়গা তারা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করতাে। মাটিডালী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজেও...

প্রতিরােধ যুদ্ধে বগুড়া

প্রতিরােধ যুদ্ধে বগুড়া ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তান দিবস। কিন্তুস্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে দিনটি প্রতিরােধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুধু ছাত্রলীগের কর্মীরা ঐ দিন সকাল ৬টায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন এবং ছাত্রলীগের বগুড়া জেলা শাখার...

গণআন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনে বগুড়া

বৃহত্তর বগুড়া জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রাজশাহী বিভাগের কেন্দ্রস্থলে উত্তর বাংলার সমৃদ্ধ এক জনপদ বগুড়া জেলা। পাহাড়ী ঝর্ণা থেকে প্রবাহিত করতােয়া নদীর ২৯২২ বর্গকিলােমিটার সমতল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত উত্তরবঙ্গের শিল্প, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যােগাযােগের কেন্দ্র বিন্দু...

এরা আকৃতিতে মানুষ হলেও আসলে ছিল কুকুর

১৯৭১ এর জুলাই আগষ্ট মাসের দিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অধিক সামরিক শক্তি সরঞ্জাম নিয়ে সারিয়াকান্দিতে তাদের ঘাঁটি ফেলে। হানাদার বাহিনী বাঁধে যাওয়ার পথে বেণীপুর চরের তমিজউদ্দিন প্রামাণিকের ভগ্নিপতিকে সাপাড়ার রাস্তায় ধরে এবং রাইফেল দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে। তারা...

জেলের মধ্যে ৮০/৯০ জন বাঙ্গালী পড়ে আছে

১৯৭১ সালের বাংলা আষাঢ় মাসের ২০/২৫ তারিখে ৫০/৬০ জন রাজাকার পুলিশ বিহারী ও পাক মিলিটারী মিলে আমার বাসায় যায় এবং বাসা ঘেরাও করে এবং আমাকে বাসা হতে ধরে ফেলে। বাসার বাইরে নিয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। তোমার চার নাতী মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে যদি তুমি এনে না দাও তাহলে...

কয়েকদিন পর সেই অবাঙ্গালী বুকিং ক্লার্ক এবং আরও কয়েকজন অবাঙ্গালী খোলা তলোয়ার হাতে আমার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত

হানাদার বাহিনী ২৪ শে এপ্রিল শনিবার রাত্রিতে জয়পুরহাট চলে আসে।  আসার সময় রেলষ্টেশনের অনতিদূরে একটি রেল সেতুর কাছে গুলি করে ৩ জন নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করে। ইতিপূর্বে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে জয়পুরহাট থেকে তিন মাইল দূরে এক গ্রামে রেখে আসি। প্রত্যেক দিন ঐ গ্রাম থেকে...

অতঃপর আমি লোকজন ডাকলাম খান সেনাকে চাকু মারতে।

খান সেনারা হঠাৎ একদিন হামিদপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। আমি কোন উপায় না দেখে অতি চতুরতার সাথে শরীরে কাদামাটি মেখে নিজের জমিতে চাষ করতে যাই। সেখান থেকে একজন খান সেনা আমাকে আক্রমণ করে। তখন আমি হাত থেকে গরু তাড়ানোর লাঠি মাটিতে ফেলে দু হাত তুলে খান সেনার কাছে আত্নসমর্পণ করি। ...

আগুন ধরানোর সময় তারা ছবি তুলেছে

    প্রবল গুলি ও গোলাবর্ষনের ভেতর দিয়ে বর্বর পাক বাহিনী ট্যাঙ্ক সহকারে বগুড়ায় প্রবেশ করে। শুরু হলো নরপিশাচদের ‘বাঙালী চোষা’ বিহারী বেঈমান সহযোগে শহরের বুকে তান্ডব নৃত্য।  লুটতরাজ,  অগ্নিসংযোগ, খুন, তৎসহ ধর্মীয় স্থান কলুষিত ও বিধ্বস্ত করায় মত্ত হয় তারা। ২৫...

তাদের সারা দেহে ধর্ষনের চিহ্ন বিদ্যমান।

এপ্রিলে পাক বাহিনী রংপুর, শান্তাহার, শেরপুর – এই তিন দিন থেকে বগুড়া শহর আক্রমণ করে।  তা ছাড়া বিমান থেকেও পাক বাহিনী বগুড়া শহরের উপর আক্রমণ করে। ঐ সময় শহরের লোকজন জীবনের ভয়ে কোন দিকে দৌড়াতে না পেরে পুর্বদিকে মুক্ত দেখে নদী সাঁতরিয়ে চেলোপাড়ার দিক রওয়ানা হয়। পাক...

1971.07.21 | রাজাকারদের হাতে গ্রেফতার হবার পর নির্যাতন | বগুড়ায় জেনোসাইড

মোঃ ছানোয়ার হোসেন গ্রাম- বালীস্বর্বা ডাকঘর- পাঁচবিবি জেলা- বগুড়া ১৯৭১ সনের ২২ শে জুলাই রাজাকারদের হাতে গ্রেফতার হলে পাক বাহিনীরক্যাম্পে নিয়ে যাবার পর আমাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। তারপর আরম্ভ হয় দৈহিক নির্যাতন। প্রায় ১৫/২০ জন পাঞ্জাবী ফুটবল খেলার মত লাথি...