You dont have javascript enabled! Please enable it! এডভোকেট মৌলভি আব্দুল বারী - সংগ্রামের নোটবুক

আব্দুল বারী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত ৪ টার্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন সাথে মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন প্রথম কয়েক টার্ম। উনি তর্কবাগীশ টাইপ নেতা ছিলেন অর্থাৎ মুরুব্বী কিন্তু একটিভ না। তার নবীনগর থানায় আরও ২ জন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আলী আহম্মদ এবং আব্দুর রহমান। ৫৪ সালের নির্বাচনে এই তিন কেন্দ্রীয় নেতার কেউ নমিনেশন পাননি। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন আইউব আমলে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হলে আব্দুল বারী আওয়ামী লীগে ছিলেন না। তিনি এবং রফিকুল হোসেন এনডিএফ এ থেকে যান। ৭০ এর নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নীতির ও দলের বাইরেই শুধু নয় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে হেরে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। (রেফারেন্স 1 ও ছবি ১-২ দেখুন)। রফিকুল হোসেন কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। বয়োবৃদ্ধ বারী এ সময় রাজনীতি বা মুক্তিযুদ্ধ থেকে দূরে ছিলেন। যতটুকু জানা যায় তিনি ৫৮ সালের পরে কোন ভাবেই আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন না। ৫৮ এর পর আওয়ামী লীগ করেছে এমন প্রমান নাই। প্রতিষ্ঠাকালে আওয়ামী লীগে ৫ কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন এই মহকুমায়। পরে ৬ জন হন। সাচ্চু  ছাড়া কেউ আওয়ামী লিগার হিসাবে ফিনিশিং টাচ করতে পারেননি। রাজাকার শীর্ষ নেতা হিসেবে এই থানায় ৪ জন কেন্দ্রিয় নেতা ছিল। ৭০ সালে এ এলাকা থেকে  নবাগত প্রার্থী ছিল। তার এক ছেলে (রফিকুল বারী) পাকিস্তান আর্মি অফিসার (তৎকালীন মেজর) ছিলেন (ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হল) এবং মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় পশ্চিম পাকিস্তান আর্মির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানেই থেকে যান। পরে ৭৩ সালের শেষ দিকে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশে ফেরত এসে পুনরায় চাকরী পেয়ে যান এবং এরশাদ আমলে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতিসহ তার চাকরীজীবন শেষ হয়। (রেফারেন্স 3,4 দেখুন।)

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার তালিকা

১৯৭০ এর নির্বাচনের দলের তালিকা

Reference:

  1. National Assembly Elections in Pakistan 1970-2008
  2. Bangladesh Documents 1971, A.S.M Shamsul Arefin, Part IV, p. 238
  3. BENGALI OFFICERS WHO ALL SERVED UNDER PAKISTAN ARMY AND JOINED BANGLADESH ARMY AFTER LIBERATION (26 March to 16 December 1971)
  4. Salah Uddin & Tashrique Mohammed Sikder

মন্তব্য –

ভাষা আন্দোলন-ইতিহাস ও তাৎপর্য; আবদুল মতিন, আহমদ রফিক বইয়ের ৭১ নং পাতায় “জনৈক আব্দুল বারী”র নাম পাওয়া যায় যিনি ভাষা সংগ্রামের সময় আরবি হরফে বাংলা লেখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ৪৮ থেকে ৫১ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতিপর্বে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকার বরাত দিয়ে লেখা হয় “জনৈক আবদুল বারী” বাংলার জন্য আরবি হরফ গ্রহণের সুপারিশ করে সেই সঙ্গে বলেন: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।” [রেফারেন্স ৬,৭,৮ দেখুন]। সেসময়ে এই নামে আর কোন সিনিয়র রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়না। তবে ইনিই যে আলোচ্য ব্যক্তি সেটি এই রেফারেন্সে প্রমাণিত হয়না। 

6. মাসিক মোহাম্মদী, ১৩৫৬, ২১, ৬

7. ভাষা আন্দোলন-ইতিহাস ও তাৎপর্য; আবদুল মতিন, আহমদ রফিক, p. 71 

8. আটচল্লিশ থেকে একান্ন  ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতিপর্ব