25 March, 1971 white paper on awami league
Acid bombs were reported under preparation on a large scale in Engineering College, and Iqbal and Jagannath Halls, Dacca. Barricades and road-blocks appeared allover the city of Dacca.
A report from Paul Martin in the London “Times” of 25 March, 1971, said: “In the ground of Dacca University, radical groups have started training students in the use of firearms. In many of the villages of East Pakistan brigades of ‘volunteers’ have been
established as the basis of a people’s militia whose future task is to ‘confront the Pakistan Army. Already petrol bombs and other hand-made bombs manufactured from chemicals stolen from laboratories in the past few weeks have made their first appearance in the eastern capital, Dacca”. In Saidpur, four violent mobs armed with rifles, shot-guns, and daggers, who had come from neighbouring villages, converged on Saidpur town and attacked Golahat, an adjacent locality, killing three persons and injuring 17. Among the wounded, two had sustained bullet injuries while another seven were hurt from shotgun fire. The remaining persons were injured by lathis and clubs. 50 houses were also burnt. The troops had to open fire and three persons were injured. Later, another violent mob attacked Saidpur
Cantonment. They fired at troops with shot-guns. The soldiers had to open fire injuring five persons. Yet another mob attacked a postal service van on Saidpur Dinajpur Road. They dragged out the conductor and the driver. The conductor was beaten to death on the• spot while the driver was seriously wounded.
In Chittagong, huge barricades were put up on the road leading to Agrabad from the Chittagong Port to prevent the transport of• military personnel and arms to the cantonment. A number of trenches were dug on the main road while trucks and lorries,
bitumen drums, dustbins and ‘bricks were put up along the route’ to prevent passage of vehicular traffic. The Awami League’s celaborate preparations for an armed uprising were pushed
forward. Sheikh Mujibur Rahman appointed ex-Colonel Usmani as Commander of “the directly answerable to him, and he deputed Major General (Retd) Majeed and Lt- Commander (Retd) Moazzam to enlist the support of ex-servicemen. Lists had been compiled and maintained at Awami League headquarters and arrangements were made to arm them. To that end, arms shops were looted at Dacca, Narayanganj, Khulna and Jessore and stocks piled up in all big towns for the use of mutineers. At Dacca Police Station headquarters alone there was a stock of 15,000 fully loaded rifles. The various outposts of EPR and EBR were connected by wireless transmitters and instructions were quickly passed from one unit to another. The biggest operational headquarters was located at the East Bengal Regimental Centre in Chittagong.
The operational plan was worked out in meticulous detail: it was arranged that on a signal from the Awami League headquarters in Dacca, the armed uprising would begin. It was arranged that
(a) ERR troops would occupy Dacca and Chittagong, to prevent the landing of• Pakistan Army by air or sea;
(b) the remaining EBR troops with the help of EPR, Police and armed ansers would move to eliminate the Armed Forces• at various cantonments and stations;
(c) EPR would occupy all the key posts of the border and keep it open for aid from outside;
(d) requirements of further arms and ammunition would be met from India; and
(e) Indian troops would come to the assistance of the Awami League rebel force once the latter succeeded in the first phase of occupying key centres and paralysing the Pakistan Army.
Early hours of Friday morning were fixed as the zero hour for the armed uprising. On the night of 25-26 March, a few hours before the Awami League plan for an armed uprising and launching of the “Independent Republic of BangIa Desh” was to be put into effect, the President called upon the armed forces of Pakistan to do their duty and “fully restore the authority of the Government”. The Army took the initiative and thwarted the Awami League plan for armed take-over of East Pakistan through armed
infiltrators from India and subverted elements in the East Bengal Regiment, East Pakistan Rifles, East Pakistan Police and para-military forces.
The Pakistan Army units, largely deployed along the borders with India, set out to suppress the rebellion and drive out the Indian Infiltrators over the next few weeks. During this period, in the areas which came temporarily under the control of the rebels
and Indian infiltrators, the Awami League reign of terror, unleashed from 1 March, 1971, onwards claimed the lives of more than a hundred thousand men, women and children., besides incalculable damage to public and private buildings, transport and
communications an industrial establishments etc.
The mass killings by the Awami League cadres and EBR / EPR rebels assumed the character of genocide. The victims were those who refused to conform to the designs of the Awami League secessionists.
২৫ মার্চ ঢাকার বাহিরে সবচে বেশি বাঙালি সৈন্য নিহত হয় চট্টগ্রামের ইবিআরসি তে। এই প্রশিক্ষন সেন্টারে ২৫০০ নবাগত সৈন্য প্রশিক্ষন নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ২০০ এর মত হত্যাকারীদের একজন মেজর কামাল মেয়ের। তিনি যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্য করতিক হিলিতে নির্মম ভাবে নিহত হন।
বাক্যটি সঠিক ভাবে না লেখায় আপনি সন্দেহ করেছেন সবাই মারা গেছে লিখেছি। তাদের অনেক কে মেরে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তানি জেনারেলদের বইয়ে এ সঙ্খা ৬৫-৮০ এর মধ্যে বলা আছে।সাধিনতা যুদ্ধের দলিল পত্রের ৯ম খণ্ডে এ সঙ্খা ২০০ থেকে ২৫০ বলা আছে। আপনি মুক্তিজুদ্ধা পক্ষের লোক না বুজা যায় আপনার পোস্ট থেকে। না জানা থাকলে বেশি পণ্ডিতি করতে নাই। ট্রেনিং চলছিল সেনা, ইপিআর, পুলিশ এবং ফেব্রুয়ারি তে চালু হওয়া ন্যাশনাল সারভিস কোরের। বাংলা রেফারেন্স সিদ্দিক সালিকের ইংরেজি রেফারেন্স ভারতীয় সরকারি ডকুমেন্ট।
P1 ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার একজন প্লাটুন কম্যান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন ইস্কান্দার খান। বিজয়ের শেষলগ্নে ভারতীয় বিমানের হামলায় তিনি নিহত হন।
P2 এসএসএফ কম্যান্ডো মেজর বিল্লাল ২৫ মার্চ রাত্রে শেখ মুজিবকে এরেস্টের দায়িত্ব পালন করেছিলন। ডিসেম্বরের ২য় সপ্তাহে ভারতীয় কামানের গোলায় নিহত হন। তার দেহের সনাক্তকরন যোগ্য কোন অংশ পাওয়া যায়নি 25 march
অপারেশন সার্চলাইট পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফরমেশন
অপারেশন সার্চলাইট অনুমোদন হয় ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১। ঐ সময় পূর্ব পাকিস্তানে ১ ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন ছিল। ১৪ ডিভিশন। সার্চ লাইট পরিকল্পনা অনুযায়ী আরও ২ ডিভিশন সৈন্য মোতায়েনের সুপারিশ করা হয়। কয়েটা থেকে ১৬(৩৪,২০৫ ব্রিগেড) খইরান থেকে ৯ ডিভিশন (২৭,১১৭,৩১৩ ব্রিগেড) মোট ১৬ টি ব্যাটেলিয়ন কে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর বাইরে ২ টি মর্টার ব্যাটারি ২ টি এপকাফ(ইপিআর) ২টি রেঞ্জারস ১টি তচি ১টি থল স্কাউট ব্যাটেলিয়ন পাঠানো হয়।
২৫ তারিখ রাতে মোতায়েনকৃত ব্যাটেলিয়ন
১৩ এফএফ রিজার্ভ ঢাকা ক্যান্ট
৪৩ আকআক তেজগাও এয়ারপোর্ট
২২ বালুচ ইপিআর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩২ পাঞ্জাব রাজারবাগ
১৮ পাঞ্জাব পুরাতন ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩১ ফিল্ড রেজিমেন্ট মিরপুর মোহাম্মদপুর শেরেবাংলানগর
৩ কম্যান্ডো ধানমণ্ডি ৩২ নং বাড়ি
৫৩ ব্রিগেড কুমিল্লা চট্টগ্রাম
ইবিআরসি লে কর্নেল শায়গ্রি চট্টগ্রাম
৮ ইবিআর লে কর্নেল রশিদ জাঞ্জুয়া নিহত চট্টগ্রাম
২০ বালুচ সিও লে কর্নেল ফাতেমি চট্টগ্রাম
২৪ এফএফ সিও লে কর্নেল শাহপুর নিহত চট্টগ্রাম
২ এসএসজি লে কর্নেল সুলাইমান চট্টগ্রাম
ইপিআর সেক্টর ৬ সদর লে কর্নেল আজিজ শেখ চট্টগ্রাম
ইপিআর ১১ মেজর মহাম্মদ ইকবাল চট্টগ্রাম
ইপিআর ১১ মেজর শামসুদ্দিন বাঙালি চট্টগ্রাম
ইপিআর ১১ মেজর পিয়ার মোহাম্মদ চট্টগ্রাম
৫৩ ফিলদ রেজিমেন্ট লে কর্নেল ইয়াকুব মালিক কুমিল্লা
৩ এসএসজি লে কর্নেল জেড এ খান কুমিল্লা
৮৮ ও ১১৭ মর্টার ব্যাটারি কুমিল্লা
ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানি মেজর বাহার (বিপক্ষে) বাঙালি কুমিল্লা
৪০ ফিল্ড এম্বুলেন্সে কুমিল্লা লে কর্নেল জাহাঙ্গির বাঙালি নিহত
৩১ পাঞ্জাব সিলেট
ইপিআর সেক্টর ২ সিও লে কর্নেল সেকেন্দার খান সিলেট
ইপিআর ৩ মেজর জাভেদ বরকাত চৌধুরী সিলেট
ইপিআর ১২ শওকত হায়াত খান সিলেট
১০৭ ব্রিগেড সদর ব্রিগ দূর রানী যশোর
২৬ বালুচ যশোর
২৭ বালুচ যশোর
২২ এফএফ যশোর
৫৫ ফিল্ড আর্টিলারি যশোর
২৪ ফিল্ড আর্টিলারি যশোর
ইপিআর সেক্টর লে কর্নেল আসলাম যশোর
৭ ফিল্ড এম্বুলেন্স লে কর্নেল হাই বাঙালি নিহত যশোর
২২ এফএফ লে কর্নেল শামস খুলনা
ইপিআর ৫ খুলনা
২৭ বালুচ কোম্পানি কুষ্টিয়া
২৫ পাঞ্জাব লে কর্নেল সাফাকাত বালুচ রাজশাহী
ইপিআর সেক্টর ও উইং ৬,৭ রাজশাহী
২৫ পাঞ্জাব কোম্পানি মেজর আসলাম নিহত ক্যাপ্টেন আসগর নিহত লে রশিদ পাবনা
২৩ ফিল্ড আর্টিলারি কোম্পানি বগুড়া
২৩ ব্রিগেড সদর ব্রিগ আব্দুল্লাহ মালিক খান রংপুর
২৩ ফিল্ড আর্টিলারি সিও লে কর্নেল সফি রংপুর
২৬ এফএফ সিও লে কর্নেল হাকিম এ কোরেশী রংপুর
১০ ফিল্ড এম্বুলেন্স লে কর্নেল মাসুদ রংপুর
ইপিআর ১০ মেজর কাজমি রংপুর
২৯ কেভেলরি লে কর্নেল সগির হসেন সাইদ দিনাজপুর
২৬ এফএফ কোম্পানি দিনাজপুর
ইপিআর ৫ লে কর্নেল তারেক আর কোরেশী দিনাজপুর
ইপিআর ৮ মেজর আমিন তারেক দিনাজপুর
ইপিআর ৯ মেজর সারওয়ার মহাম্মদ হসাইন দিনাজপুর
৪৮ পাঞ্জাব সৈয়দপুর লালমনিরহাট
৪ এফএফ সৈয়দপুর লালমনিরহাট
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তান নীতি
Memorandum From the President’s Assistant for National Security Affairs (Kissinger) to President Nixon/1/
Washington, March 26, 1971.
/1/ Source: National Archives, Nixon Presidential Materials, NSC Files, Box 625, Country Files, Middle East, Pakistan, Vol. IV, 1 Mar 71-15 May 71. Secret; Nodis. Sent for information. A handwritten notation on the memorandum indicates the President saw it.
SUBJECT
Situation in Pakistan
The West Pakistani army has moved to repress the East Pakistan secession movement. Our embassy believes that the military probably has sufficient strength to assert immediate control over Dacca and other major cities, but is not capable of maintaining control over an extended period. This raises two immediate problems for us: (1) the safety of official and private Americans, and (2) the U.S. role, if any, in a peacemaking effort. I have called a WSAG meeting for 3:00 p.m. today and will provide recommendations after that.
Safety of Americans
There are at present some 850 Americans, including 250 U.S. officials and dependents, in East Pakistan. State’s plan is to make no immediate move to evacuate these people since they could be in greater danger on the streets and we have no information yet as to the situation at the airports. Our consulate, however, is seeking the protection of the local authorities, and evacuation plans-worked out earlier in the present crisis-are being reviewed for both East and West Pakistan. Military aircraft from Southeast Asia could be made available on short notice for the purpose of evacuation.
No reports have been received so far of injuries to Americans or any other foreigners in East Pakistan.
U.S. Peacemaking Role
Contingency plans on East Pakistan have been drawn up and reviewed by the Senior Review Group. For this situation, these plans present a series of theoretically possible options ranging from doing nothing other than protecting resident Americans through approaching Yahya in concert with the British and other powers, with an appeal to halt the bloodshed, if necessary using the threat of sanctions including the cessation of economic aid and military supply.
The real issue is whether we involve ourselves or not. The British may well weigh in on their own, and that has advantages for us. Beyond that, however:
-The advantage of not involving ourselves at this stage is that we do not prematurely harm our relationship with West Pakistan. We can for a time yet claim with the Easterners that the situation is too unclear there to provide a basis for action.
-The arguments for pressing Yahya to end the bloodshed would be (a) humanitarian, (b) political since this could arouse emotions like those surrounding Biafra over time and (c) diplomatic in preserving a relationship with the new East Pakistani nation of 75 million.
Comment
I shall send you recommendations after the WSAG meeting.
In addition to reviewing the evacuation plans, the group will concentrate on the two operational decisions that may present themselves:
1. Whether to approach Yahya, urging him to end the bloodshed. It is probably a bit early to make this decision today because we do not yet know whether calm will be restored in the East or whether the pattern of violence will continue and broaden. This, therefore, seems a decision for the next two or three days.
2. How to respond to a definitive announcement of East Pakistani independence. Our Consul General has standing instructions to refer any such question to Washington. The issue might remain unclear for some time if the military re-establishes control in the cities and the resistance moves to the countryside. On the other hand, our response will set the tone for our relationship with both wings.
অপারেশন বিগ বার্ড- শেখ মুজিব গ্রেফতার
শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের জন্য যে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল সেটা সম্পর্কে এবং সার্চলাইট নিয়ে আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া ২৩ মার্চ সারাটা দিন ক্যান্টনমেন্ট এ কাটাইয়াছিলেন। গ্রেফতারের দায়িত্ব পরে জেনারেল মিঠার নিয়ন্ত্রণাধীন কুমিল্লায় অবস্থানরত ৩ কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন এর উপর অরপন করা হয়। ২৩ তারিখেই তাদের সি-১৩০ বিমানে করে ঢাকা আনা হয়। কর্নেল এস, ডি আহম্মদ তাদের ব্রিফ করেন। তারা ঐ দিনই তাদের পরিকল্পনার মহড়া পৃথক ভাবে রাও ফরমান সহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের দেখান। ২৫ তারিখ সন্ধায় জেনারেল মিঠা পিআইএ এর ফ্লাইটে ঢাকা পৌছার পর তাদের একশন শুরু হয়। প্রথমে তারা মিঠা সহ সামরিক আইন প্রশাসক এর অফিসে কর্নেল জিএস এর সাথে সভা করেন পরে রাত ৯ টায় জেনারেল হামিদের বাসায় সভা করেন।
জেনারেল হামিদ জেড এ খান কে বলেন মুজিবকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কোনো কারণে মুজিব মারা গেলে এজন্য ব্যক্তিগতভাবে জহিরকেই দায়ী করা হবে । জহির অপারেশন বাস্তবায়নে তার পরিকল্পনা জানালেন। তিনটা ট্রাক আর এলাকা ও বাড়ির নকশা চাইলেন । শেখ মুজিবর রহমানের পেছনের বাসাটাই জাপানী কন্সালের। যদি উনি সেখান আশ্রয় নেন তাহল তাদের কী করণীয় । জেনারেল হামিদ বললেন জহির কে বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন ।
মহড়ার জন্য মুজিবের বাসা ও সেখানে যাওয়ার পথটুকুর মডেল বানানো হয় । সন্ধ্যার পর কোম্পানীকে অভিযানের নির্দেশনা বুঝিয়ে দেন জহির । কোম্পানিকে তিনভাগে ভাগ করা হয় । নেতৃত্ব সঁপা হয় যথাক্রম ক্যাপ্টেন সাঈদ, ক্যাপ্টেন হুমায়ুন ও মেজর বিলালের ( ৯ ডিসেম্বর লাকসামে নিহত) ওপর। ক্যাপ্টেন হুমায়ুনকে দুজন সঙ্গীসহ পাঠানো হয় মুজিবের বাসার চারপাশে সাধারণ গাড়িতে চক্কর দিতে এবং নজরদারি করতে ।
তিনটি দলের মিলিত হওয়ার স্থান হিসেবে নির্ধারন করা হয় এমপি হোস্টেলের দিকে মুখ করে থাকা তেজগা বিমানবন্দরের গেট । ঠিক হয় বিমানবন্দর থেকে সংসদ ভবন ও মোহাম্মদপুর হয়ে ধানমন্ডী যাবেন তারা । রাত ন’টার দিকে জহির এয়ারফিল্ডে পৌছলেন ।
ঘণ্টাখানেক পর মুজিবের বাসার রেকি শেষে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন হুমায়ুন এবং জানালেন মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডীর রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা বসানো হচ্ছে । রোডব্লক সরাতে সম্ভাব্য সময় নষ্ট হওয়ার কথা বিবেচনা করে অপারেশনের সময় মাঝরাত থেকে একঘন্টা এগিয়ে আনলেন জহির। সময় অনুযায়ী রওয়ানা দিলেন সদলে ।
ভোররাত ১:৩০ , ২৬ শে মার্চ (যেটাকে আমরা বলি ২৫ শে মার্চের কালোরাত) ২ টি আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) শেখ মুজিবের ধানমন্ডীর বাসায় পৌছালো। বিশেষ নিরাপত্তা গ্রুপ কমান্ডোরা (Special Security Group Commandos) গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও যখন হাল্কা আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শেখ মুজিবের বাসার চারপাশ ঝাজরা করে দিচ্ছিলো শেখ মুজিব তখন প্রথমে বিছানার কোনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর কিছুটা শব্দহীন সুনসান সময় কাটলো। হঠাৎ শেখ মুজিব নীচের তলার বারান্দায় নেমে আসলেন , হাত উত্তোলন করলেন আত্ন সমর্পনের জন্য এবং চিৎকার করে বললেন “গোলাগুলি করার প্রয়োজন নাই , আমি এখানে , টেক মি”। তখন একজন সুবেদার/হাবিলদার ওয়াযির শেখ মুজিবের গায়ে হাত তুলেন। নিচে নামার পর মুজিব তার তামাক পাইপ সঙ্গে নেয়ার জন্য আবার উপরে উঠেন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসেন। বাসায় এ সময় বেগম মুজিব, রাসেল ও কিছু কর্মচারী ছিল। হাসিনা, রেহানা, কামাল, জামাল দের আগেই সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর শেখ মুজিবকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এ নেয়া হয়। তাকে ২ দিন রাখা হয় আদমজী ক্যান্ট স্খুলে। আরও ২-৪ দিন পরে তাহাকে পশ্চিম পাকিস্তানে উড়িয়ে নেয়া হয় এবং আটক ফোর্ট নামক কারাগারে অন্তরীণ করা হয়।” আরও কিছুদিন পর তাহার স্থান হয় মিয়াওয়ালি কারাগার এ।
ওয়াশিংটন ২৬ মার্চ অপরাহ্ণ ৩;৩২ মিনিট স্পেশাল একশন গ্রুপ মিটিং
উপস্থিত সদস্য
১)কিসিঞ্জার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
২)আলেক্স জনসন স্টেট দপ্তর
৩)ভেন হলেন স্টেট দপ্তর
৪)ডেভিড পেকারড প্রতিরক্ষা দপ্তর
৫)জেমস নয়েজ প্রতিরক্ষা দপ্তর
৬)রিচারড হেল্মস সিআইএ দপ্তর
৭)ডেভিড ব্লি সিআইএ দপ্তর
৮)লে জেনারেল মাল্ভিন জাইস জেসিএস দপ্তর
৯)কর্নেল ফ্রাংক রেহা জেসিএস দপ্তর
১০)কর্নেল কেনেডি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল
১১)হেরল ড সান্দারস জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল
১২)সাম হস্কিন্সন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল
১৩)কিথ গুথ্রি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল
পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এই কমিটি মনে করে এখনও কোন পক্ষে অবস্থান নেয়া ঠিক হবে না। পূর্ব পাকিস্তানের স্বীকৃতির বিষয়ে সময় ক্ষেপণ করা হবে। অনতি বিলম্বে সেখান থেকে আমেরিকান নাগরিকদের সরাইয়া নেয়া হবে।
শেখ মুজিবকে সামরিক করতিপক্ষ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় তার ২ জন অনুসারী নিহত হয়েছেন। সভা শুক্রবারের ইয়াহিয়ার ভাষণকে যথার্থ মনে করে।
আলোচনা কেন ভেঙ্গে গেল কমিটি এ ব্যাপারে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য এখন পায় নাই। কিসিঞ্জার বলেন ২৪ তারিখে একটা চুক্তিতে তারা পৌঁছেছিল। হেল্মস বলেন মুজিবের সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি ইয়াহিয়া মানেন নাই। শেখ বেতার মারফত সাধিনতা ঘোষণা করেছেন। সেখানে এখন ২০০০০ পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্য আছে তাদের মধ্যদ্ধ ৫০০০ পূর্ব পাকিস্তানী সৈন্য তাদের আনুগত্য এখনও পরিস্কার নয়। ১৩০০০ আধা সামরিক পূর্ব পাকিস্তানী সৈন্য আছে তাদের আনুগত্য এখনও পরিস্কার নয়। ভারতীয় সংবাদ বলেছে বিপুল সংখ্যক সৈন্য শিপ এবং সি ১৩০ বিমানে পরিবহন হচ্ছে সেটাও আমরা নিসচিত নই। ঢাকায় ৭০০ চট্টগ্রামে ৭০-৮০ জন আমেরিকান আছে। কিসিঞ্জার আবার বলেন কেন আলচনা ভেঙ্গে গেল। হলেন বলেন ২ টা কারন হতে পারে এক ইয়াহিয়া সমাধান চান নি দুই হতে পারে সামরিক বাহিনি করতিক ২০ জন হত্যাকাণ্ড। কিসিঞ্জার আমি বুজতে পারছি না কেন মুজিব আপোষ করলেন না। ২৪ তারিখের ৯২৭ নং টেলিগ্রাম তোঁ বলে সব ঠিক হয়ে গেছে। ভুত্তকে কি পশ্চিমের প্রাধান্য বিস্তারকারী নেতা বলা যায়। ভলেন বলেন হা তিনি যিনি ইয়াহিয়াকে জোরপূর্বক সংসদ অধিবেশন আহবান বাতিল করতে বাধ্য করেছিলেন। কিসিঞ্জার আপনারা কি মনে করেন এখনও সমাধান সম্ভব? ভলেন বলেন তারা বড়জোর ঢাকা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন সারাদেশ আওয়ামী লিগের নিয়ন্ত্রনেই থাকবে। কিসিঞ্জার আপনারা কি মনে করেন তারা প্রতিরোধ করতে পারবেন। ভলেন বলেন তারা তো ১ মাস ধরেই প্রতিরোধ করছেন। কিসিঞ্জার বলেন তাদের নেতা তো গ্রেফতার এ এবস্থায় তারা কি পারবে? ভলেন অবশ্যই পারবে মনে রাখবেন যে দলটি ১৬২ টি আসনের ১৬০ টি তেই বিজয়ী হয়েছেন। দলটি অসম্ভব জনপ্রিয়। কিসিঞ্জার বলেন তার মানে খুব দ্রুত আরেকটি স্বাধীন দেশের জন্ম হচ্ছে। ভলেন বলেন হা ।জন্সন বলেন বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে ইয়াহিয়া চেষ্টা করেন নি? ভলেন বলেন হা তিনি ৬ তারিখে একবার ঠেকাইয়াছিলেন। কিসিঞ্জার পূর্ব পাকিস্তানে তাদের সৈন্যদের রশদ কি পর্যাপ্ত। হেল্মস বলেন না। ভলেন বলেন তাদের ১ ডিভিশন সৈন্য আছে যেটিকে খণ্ডিত ডিভিশন বলা যায়। নেক্সট কয়েকদিনের তথ্য কি হতে পারে। আমাদের রাত্রি ৮ তায় তাদের সকাল এ সময়েই ঘটনা প্রবাহের অনেক জানা যাবে। ( অসমাপ্ত )
অপারেশন সার্চলাইটে নিহত পাকিস্তানী
বেশীর ভাগ নিহত হন চট্টগ্রাম পাবনা এবং কুষ্টিয়ায়
লে কর্নেল ৩
মেজর ১২
ক্যাপ্টেন ১২
লেফটেন্যান্ট ০
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ২
জেসিও/ এনসিও ৭০০
বেসামরিক অফিসার ২০
বেসামরিক পাকিস্তানী জনতা ৩০০
বিহারী ৪০০
জিয়ার ঘোষণা আসলে কার কণ্ঠে? এবং কত তারিখে?
আমরা সবাই জানি বাজারে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত দুইটি ভাষণ পাওয়া যায়। বোঝার সুবিধার্থে একটিকে বলা হয় declaration অন্যটিকে বলে proclamation. (ভাষণের কনটেন্টের পার্থক্য অনুসারে। অডিও শুনুন – যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয়)। কথা হলো কোণটা কার এবং কবের? declaration টা যেখান থেকে নেয়া হয়েছে সেই দলিলের নাম “একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে” নামক একটি লং প্লে (আগের দিনের কলের গানের প্লে)। সেখানে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট বলেছেন যে এখানে জিয়ার ঘোষণাটি অন্যের কণ্ঠ। তার কণ্ঠ নয়। রেকর্ড হয়েছে স্বাধীনতারও পরে। (ছবি কমেন্টে)।
এবার আসুন দ্বিতীয়টিতে। পূর্বে আলোচিত শর্ত না মেনে ২৭ তারিখে জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে রেডিওতে ভাষণ দেন। কিন্তু সাথে সাথে অনেকেই প্রোটেস্ট করে। তবে এর কোন অডিও রেকর্ড নাই। তখন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আরেকটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন। তখন তারা এ কে খানের থেকে ড্রাফট করেন। উনি মুসলিম লীগের মিনিস্টার ছিলেন (আওয়ামীলীগের এম আর সিদ্দিকির শ্বশুর)। দ্বিতীয় ভাষণের রেকর্ড যিনি ছেড়েছিলেন তাঁর নাম এম হোসেন। তিনি বলেছেন এগুলো তিনি ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে জিয়ার দ্বিতীয় ভাষণটি পাওয়া যায়। কিন্তু লক্ষ্য করুন এটা ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যকার কোন সময়ের ঘোষণা। এর আগে অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। (যেমন – আবুল কাশেম সন্দীপ, এম এ হান্নান)। আর্মির থেকে একজন দেয়ার দরকার ছিল এটা বোঝানোর জন্য যে আর্মিও মুক্তিবাহিনীর সাথে আছে। দুঃখজনক হল – বি এন পি এটাকে জোর করে ২৭ বানিয়েছে। আর আওয়ামীলীগ সেটা মেনে নিয়েছে। মূলত জিয়ার ভাষণ হল ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যের।