ভুট্টো নামাঃ বা একজন ষড়যন্ত্রকারীর পরিণতি:
১৯৭১ যুদ্ধে হারার দুইদিন পর, তারই মতো করাপ্টেড বা সমমনা জেনারেলদের মাঝে C.G.S. লেফটেনেন্ট জেনরেল গুল হাসানের কাঁধে ভর করে বন্দুকের জোরে ইয়াহিয়া-কে গৃহবন্দী এবং জেনরেল হামিদ খানকে বাড়ি পাঠিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তনের প্রেসিডেন্ট হন। তখন রাজনৈতিক দোলাচালে তিনি জেনরেল গুল হাসান হন তাঁর সামরিক প্রধান। এর কিয়ৎকাল পরই যখন হামুদুর রহমান কমিশন তার (গুলের) উপর চার্জ আনে। তাকে ট্রায়ালে দোষী সাব্যস্ত করে তার র্যাংক এবং প্রাপ্য পেনশন চ্যুতি ঘটলে, লেফটেনেন্ট জেনারেল টিক্কা খান-কে সেনাপ্রধান করা হয়।
ততদিনে ভুট্টো প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেন। শুরু হয় ইন্টার্নাল পলিটিকাল টাগ অফ ওয়ার (পাঞ্জাবি ভার্সেস রেস্ট অফ দ্য পাকিস্তানিস) যা ভুট্টোর ছিল স্বভাবগত এবং ঐতিহ্যগত।
এই অবস্থায় ভুট্টো একজন মডারেটলি নির্লোভী জেনারেলের তালাশে থাকেন। তালাশের এক পর্যায়ে যখন ভুট্টো দেখলো যে তার তল্পিবাহক হিসেবে নির্ভরশীল কাউকে পাচ্ছেন না, আবার পাঠান-পাঞ্জাবি ছাড়া সেনাবাহিনীর গতি নেই। তাই, একজন ধার্মিক ১৩ল্যান্সারের অফিসার তৎকালের ব্রিগেডিয়ার জিয়া-উল-হকের মাঝে। তাকে দ্রুত এক বছরের ভেতর প্রমোশনের পর প্রমোশন দিয়ে ১লা মার্চ ১৯৭৬সালে তাকে সেনাপ্রধান করে ভুট্টো।
নিজেদের ভেতর বনিবনা না হওয়াতে, ৫ই জুলাই ১৯৭৭সালে দেশটিতে মার্শাল-ল ডিক্লেয়ার করে জিয়া তাকে কারারুদ্ধ করে রাখে।
শুরু হয় ভুট্টোর পতন।
৪ঠা এপ্রিল ১৯৭৯ সালে, ৫১ বছর বয়সে বেদম মার সইতে না পেরে তার মৃত্যু ঘটলে তখন ফাঁসীতে লটকে দেয়, তৎকালীন পাকিস্তানি জিয়া প্রশাসন। যদিও মার্কিন-সৌদিআরব লবি তার হত্যার বিরোধী ছিলো। কারন, সাইনো-মার্কিন বিবাহের ইমামতি তিনিই করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আবার আধুনিকতার নামে আণবিক ক্রেতা হিসেবে তিনিই ছিলেন সাইনো-মার্কিনীদের প্রথম এবং পরম প্রিয়পাত্র।
কিন্তু, ভবিতব্য কে ঠেকিয়ে রাখতে পারে???
Reference:
Memoirs of Lt Gen Gul Hassan Khan
Songs of Blood and Sword – a memoir written by Fatima Bhutto
…..
Written by
Tashrique Mohammed Sikder