চেতনা ব্যবসা
“চেতনা ব্যবসা” শব্দটি পরাজিত শক্তির সর্বাধিক ট্রল করা শব্দ। এটাকে একটা ‘গালি’ বানাতে তারা সফল। মূলত মুক্তিযুদ্ধকে ব্যঙ্গ করতে নানাভাবে এটি ইউজ করা হয়। ‘চেতনা’ কিন্তু অনেক রকমের হতে পারে। শুধু ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নয়। ‘ইসলামী চেতনা’ও হতে পারে। ধর্মকে ব্যবহার করে – ধর্মীয় চেতনাকে সম্বল করে যখন জামাত বিদ্বেষ ছড়ায়, ধর্মভীরু মানুষকে তাদের ছাতার নীচে ডাকে সেটাও ‘চেতনা ব্যবসা’। আর ব্যবসার কথাই যদি আসে, তাহলে বলতেই হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার ডোনেশন পায় বিভিন্ন ধর্মের চেতনা ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক অস্থিরতা আর নানান চক্রান্তের সাথে তারা জড়িত। বিন লাদেন, আই এস কাদের সৃষ্টি? চিরশত্রু পাকিস্তান কাদের বন্ধু? দেশ গেল দেশ গেল, ধর্ম গেল ধর্ম গেল – এসব বোল আইয়ুব খানের আমল থেকে কারা শোনাচ্ছে? জামাতের বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন শুরু হয় তখন কোথা থেকে মূলধন এসেছে? কেমন করে রাজাকার শিরোমণিরা কোটিপতি হলেন? শুধু ধর্ম প্রচার করে কি কোটিপতি হওয়া সহজ? কয়জন হয়েছে? ৯৫% মুসলমানের দেশে ধর্ম প্রচার করতে তো গোপন সংগঠন করা লাগেনা। এতে প্রমাণিত হয়, ‘ইসলামী চেতনা ব্যবসা’ জামাতের মূল ব্যবসা। এদের উদ্দেশ্য ইসলামের প্রচার নয়, বরং ইসলামের কাঁধে বন্দুক রেখে ক্ষমতায় যাওয়া। তাদের চেহারা প্রমাণের সহজ কথাটা এবার বলি। মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক নয়। তাহলে কেন মুক্তিযুদ্ধের আলোচনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়? রাজাকারের দাঁড়ি দেখালে কেন ক্ষিপ্ত হয়? দাঁড়ি তো মোদীরও আছে। দাঁড়ি রেখে ধর্ষন, হত্যা করলে সাচ্চা মুসলমান হিসেবে ওদেরকে তো ঘৃণা করা উচিৎ। অথচ, উল্টো তারা তথ্যদাতা ব্যক্তিকে চেতনা ব্যবসায়ী আখ্যা দেয়। এতে প্রমাণ হয় তাদের কষ্টটা কোথায়। তারা ভুলে যায়, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন ইতিহাস থাকবে। আর সেই ইতিহাস তাদের পরাজয়ের কথাই চিরদীন বলবে। হাজার হাজার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আর বইপত্র আগুনে পুড়িয়ে সে পরাজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলা যাবেনা। সেই যুগ পেরিয়ে গেছে।