২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ সরকার ও নেতৃবৃন্দ
ত্রান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামরু্জজামান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা সমাবেশে বলেছেন দেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করা আমাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। তিনি বলেন আমাদের কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা উচিত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্যও আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী সামসুদ্দিন মোল্লা এক বিবৃতিতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামাতে ইসলামীর কুখ্যাত আল বদর, আল-শামস ও রাজাকার কর্তৃক পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী জানান। তিনি বলেন, দখলদার পাকবাহিনীর দোসররা ঢাকার সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাঁদের প্রায় সকলেই খুণীদের হাতে প্রাণ হারান।
সরকার এক তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছে বর্তমান হজ মৌসুমে বিবদ্মান পরিস্থিতির কারনে আর হজ্জ যাত্রী প্রেরন সম্ভব হবে না। এর আগে নভেম্বর মাসে ব্যালটি হজ যাত্রীদের অনেক আসন খালি ছিল।
তানজানিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ওসমান গনি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তবে তাকে সাদরে গ্রহন করা হয়নি। দালাল হিসেবেই গণ্য করা হয়।
হরিরামপুর ইউনিয়নের কামারপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও মুজিব বাহিনীর উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রমিজ উদ্দিন। সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর মহকুমা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এবং মুজিব বাহিনী কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, হাসান উদ্দিন সরকার, কাজী আরশাদ, আব্দুল আওয়াল।