২১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ সরকার
কলকাতায় অবস্থারত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার আগামী কাল ফিরবেন। ঢাকা জেলা ও ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শহর শাখা, শ্রমিক লীগ সরকারকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা জানাবেন।এ চার সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারন সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন, গাজী গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ঢাকা নগর প্রধান ফজলুর রহমান শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী সকলকে সকালেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান।
একে খন্দকারকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এস আর মীর্জাকে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের ট্র্যাফিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করা সম্ভব হয়েছে।
কর্নেল ওসমানীর আজ ঢাকা আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি সফর বাতিল করে কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।
বাংলাদেশ বাহিনীর উপ প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এক খন্দকার, মেজর সালাহ উদ্দিন, সেনাবাহিনীর গণসংযোগ প্রধান নজরুল ইসলাম, ওসমানীর এডিসি লেঃ শেখ কামাল উদ্দিন মুজিব নগর থেকে ফিরে এসেছেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত পাকিস্তান দুতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি মোসলেহ উদ্দিন আহমদ পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছেদ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্থাপন করেন। পোল্যান্ডে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবুল বশিরুল আলম বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষনা করেন। কয়েক ডজন পোলিশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তিনি তাঁর বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
বাংলাদেশ সরকারের সেক্রেটারি জেনারেল রুহুল কুদ্ধুস ভারতের কলকাতা গিয়েছেন। তিনি সরকারকে স্বাধীনতা উত্তর এ ৫ দিনের দেশের পরিস্থিতি জানাবেন।
ভারতের সাথে ডাক যোগাযোগ স্থাপিত।
১৩টি রুটে নৌচলাচল শুরু।
দেশের নতুন মুদ্রিত ডাক টিকেট চালু।
১৫০০ যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বন্দীর মুক্তিলাভ। এর মধ্যে ৭০০ ঢাকায় ৭০০ যশোরে।
পরাজয় লগ্নে পাক বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় ঢাকায় স্টেট ব্যাঙ্কের নগদ টাকা পুড়িয়ে দিয়েছে।