You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.03.02 | ২ মার্চ ১৯৭১ পরিস্থিতি - সংগ্রামের নোটবুক

২ মার্চ, ১৯৭১ সরকার
ঢাকা শহরে বিভিন্ন অফিস, বাড়ি, রাস্তায় কতক অবাঙ্গালী লাঞ্ছিত ও তাদের কিছু বেবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট হওয়ায় খুলনার শহর খালিশপুর দৌলতপুর এলাকায় আজ সান্ধ্য আইন জারী করা হয়। বাঙ্গালী ব্রিগ্রেদিয়ার এম আর মজুমদার কে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক করা হয়। চট্টগ্রামে অবাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকায় সাদা পোষাকে ৩ কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন ও ২০ বালুচ ব্যাটেলিয়ন এর কয়েক প্লাটুন সৈন্য মোতায়েন করা হয়। জনতা সান্ধ্য আইন এবং সংবাদ পত্র সেন্সরশিপ শিপ সংক্রান্ত নতুন আইন সম্পাদকগণ মানছে না। নারায়নগঞ্জ এ রাইফেল ক্লাব, বাইতুল মোকাররম এ ২ টি নিউ মার্কেট এ ১ টি অস্রের দোকান লুট করে অস্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনিয়া অস্র প্রশিক্ষনে ব্যাবহার করা হয়।শালিমার হোটেল ও গুলিস্তান সিনেমা হল ভাংচুর করা হয়।জনতা সদর ঘাট এ সেনা বাহিনীর উপর আক্রমন করলে সেনাবাহিনির গুলিতে ৬ জন প্রান হারায়। জনতা নারায়ন গঞ্জ এর গাউসিয়া জুট(বাঙালি মালিক) মিলে আগুন ধরাইয়া দেয়। টি ভি স্টেশনে হামলার সময় গুলিতে একজন মারা যায়। ফার্মগেট এ সেনাবাহিনীর গাড়িতে জনতার হামলা ফাকা গুলি পরে জনতার উদ্দেশে গুলি একজন ছাত্র নিহত। বিক্ষোভ দমনে রাত নাগাদ ৯ জন নিহত ৫১ জন আহত হয়। দেশের বিভিন্ন অংশে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হয় এবং দেশের বিভিন্ন অংশে পাকিস্তানি নেতাদের নামে স্থাপনার নাম পরিবর্তনের হিড়িক পরে। কুমিল্লায় ২ জন অবাঙ্গালি ইপিআর সদস্যকে উলঙ্গ করিকছেরে ছেড়ে দেয়া হয়।

শেখ মুজিবের সাথে ইয়াকুবের ৭০ মিনিট টেলিফোন সংলাপ। সচিবালয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত একটি দপ্তরে কর্মরত বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল কাদির পলাইয়া ক্যান্টনমেন্ট এ আশ্রয় নেন এবং ব্রিগ্রেদিয়ার কাইউম কে ১২ ঘণ্টা পর অক্ষত অবস্থায় সচিবালয় থেকে উদ্ধার করা হয়। তার বেক্তিগত অবাঙ্গালী সহকারীকে তখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অবাঙ্গালিরা দলে দলে ক্যান্টনমেন্ট এ আস্রয় নিতে থাকে। আত্মীয় স্বজন পরিচিতরা তাদের আস্রয় দেয়। আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা সীমা অতিক্রম করে গেলে তাদের জন্য আদমজি ক্যান্ট কলেজে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। সমস্যা দেখা দেয় অনেক স্খুল ছাত্র নিয়া তাদের আস্রয় মিলে ৯ ডিভিশনের জিওসি খাদিম হোসেন রাজার বাসায়। সেনা ব্যারাকে ফিরাইয়া নেয়ার প্রাক্কালে চিফ সেক্রেটারি সফিউল আজমের(মন্ত্রী বাংলাদেশ ৭৭-৭৮) অনুরধে রাতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, রেডিও, টেলিভিশন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছাড়া সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১০ মার্চ ১২ টি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঢাকায় বৈঠকে ডাকিয়াছেন।শেখ মুজিব এই বৈঠক বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।