১৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়ন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এক বিবৃতিতে বলেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হয়েছে বাংলাদেশ এখন মুক্ত। স্বাধীনতার এ আনন্দঘন মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগনের প্রাণপ্রিয় নেতা গনপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে। তাকে মুক্ত করে দেশ বাসীর কাছে ফিরিয়ে আনা সংগ্রামী বাঙ্গালী জনগন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। আমরা সংগ্রামী ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ভারতের সরকার জনগন এবং সশস্র বাহিনীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পৃথিবীর জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের বিশ্বস্ত বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন তার নেতৃত্ব এ সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের মুক্তি সংরামে যে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছে তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের এখন স্বাধীনতা সুসংহত রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
সারাদেশে আইন শ্রিংখলা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে হবে বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিবাহিনীর নির্দেশাবলী পালন করার জন্য আমরা জনগনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। ন্যাপ এর এক অনুষ্ঠানে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন বঙ্গবন্ধুর মুক্তি না হলে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাওয়া যাবে না। সভায় সভাপতিত্ব করেন শহর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিশ। সভায় স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ দের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় সহযোগিতা ক্রার জন্য সভায় ভারত সরকার জনগন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সভায় সমাজবিরোধীদের কার্যক্রম নিরোধে মহল্লায় মহল্লায় কমিটি করার আহবান জানানো হয়।