বিধানসভায়
উদ্বাস্তু ও স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রসঙ্গ
আগরতলা, ৫ এপ্রিল: আজ ত্রিপুরা বিধান সভায় রাজ্য অর্থমন্ত্রী শ্রীকৃষ্ণ দাস ভট্টাচার্য বলেন, সরকার থেকে এ রাজ্যে আগত উদ্বাস্তু পরিবারের লােকসংখ্যা অনুযায়ী মাসিক দশ টাকা থেকে পঁচাত্তর টাকা পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ক্যাম্প ডােল দেওয়া হয়। তাদেরকে বছরে দুবার পরিধানের কাপড় ও একবার কম্বল দেওয়া হয়। এছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা ও লেখাপড়ার সুযােগ দেওয়া হয়। অধিকন্তু সাতান্ন পয়সা কিলােগ্রাম হিসেবে রেশনের চাউল ও আটা দেওয়া হয়।
বিধান সভার সদস্য শ্রী বিধু চন্দ্র দেববর্মা এ সম্পর্কে এক প্রশ্ন উত্থাপন করলে শ্রী ভট্টাচার্য আরও বলেন যে, এ রাজ্য ১৯৭০-৭১ সালে মােট ৫,৯২৭ জন উদ্বাস্তু পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এ পর্যন্ত ৮২৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ত্রিপুরার বাইরে পাঠানাে হয়েছে বলে তিনি জানান।
শ্রী রাজকুমার কমলজিৎ সিংহের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দামান সেলুলার জেল কিংবা ভারতে অন্যান্য অংশে পাঁচবছর বা তার চাইতে বেশি সময় কারা প্রাচীরের অন্তরালে কাটিয়েছেন তাদের নামের একটি তালিকা তার সরকার চেয়েছিলেন। তদনুযায়ী নামের তালিকাটি ১৯৬৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিধানসভায় আজ সদস্য রাজকুমার কমলজিৎ সিং জানতে চান যে, ১৯৬৭ সালের ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অনুযায়ী কোনাে সিনিয়রিটি লিস্ট তৈরি হয়েছে কিনা। উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, ঐ রুটিন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে উক্ত সার্ভিস সংগঠনের পর এখানে টি.সি.এস অফিসাররা একটি খসড়া সিনিয়রিটি লিস্ট প্রস্তুত করা হয়।
সূত্র: ত্রিপুরা
৭ এপ্রিল, ১৯৭১
২৫ চৈত্র, ১৩৭৭