১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভারত ও ইন্দিরা গান্ধী
ভারতের সংসদের যৌথ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জগ জীবন রামকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশ মিশন প্রধান হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীকেও মাল্যভূষিত করা হয়। সভায় সর্বচ্চ সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। জবাবে ইন্দিরা গান্ধী দেশের দুর্যোগময় মুহূর্তে তাকে সমর্থন করায় সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন কারো হস্তক্ষেপে নয় ভারত নিজ উদ্যোগেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। আর এ ঘোষণায় সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিল। তিনি বলেন স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় ইচ্ছুক দেশ গুলোর একত্রে জোট বাধা উচিত। সানডে টাইমসের নিকলাস ক্যারলের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন পাকিস্তানকে অবশ্যই মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে তার মুক্তির ব্যাপারে ভারত বেশী চাপ দিতে পারে না এ জন্য পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ দেশ গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে তার দেশ সে রকম দেশ গুলোকে কূটনীতিক চ্যানেলে চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ থেকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়া হবে আর তা নির্ভর করছে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছার উপর। তিনি বলেন বাংলাদেশ দুরের কথা পাকিস্তানের এক ইঞ্চি জমিও দখলে রাখার কোন ইচ্ছা ভারতের নেই। সানডে টাইমসের এ সাক্ষাৎকারের ভাষ্য বিবিসিও প্রচার করেছে। যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কৃতিত্ব দাবী করছে তারা শেখ মুজিবের মুক্তির কৃতিত্ব নিক। তিনি বলেন পাকিস্তানে ভারত বিদ্বেষী প্রচার হলেও জনগন ভারত বিদ্বেষী নয়।
ইন্দিরা গান্ধী তার দল কংগ্রেসের এক সভায় বক্তৃতা করেন।
এদিন জাতীয় সঙ্কটে নির্ভীক নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ভারত সরকার তাকে ভারত রত্ন খেতাব প্রদান করে।
ভারত সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কতক সদস্য এর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথম দফায় বীর পদক প্রাপ্ত সৈনিকের নাম ঘোষণা করে।