১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ক্যামেরার সামনে কাদেরিয়া বাহিনীর ৫ বিহারী হত্যা
পল্টন ময়দানে জনসভা শেষ হওয়ার পর কাদের সিদ্দিকি ৫ বিহারী রাজাকার বা সন্ত্রাসীর বিচারে সাজা কার্যকর করেন। উপস্থিত ১৫–২০ জন বিদেশী সাংবাদিকদের সামনেই তাদের হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদের অনেকেই ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক এদের মধ্যে ছিলেন হর্সট ফাস, মাইকেল লরেনট এবং অরিয়ানা ফেলাচি। মাত্র ৫ জন রাজাকার/ অবাঙ্গালী হত্যার মধ্য দিয়ে কাদের সিদ্দিকি সারা পৃথিবীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বদনাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর নামকরা পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম পৃষ্ঠায় উক্ত ঘটনা ফলাও করে প্রচার করা হয়। কোন কোন সাংবাদিক ভিডিও (মুভি ফিল্ম) করেছিলেন। সেগুলিও টেলিভিশনে প্রচার হতে থাকে।
এমনকি রাশিয়ান রাও সমালোচনামূলক লেখা লেখি করেছে। বাংলাদেশ বন্ধু নামে অভিহিত ক্রিশ্চিয়ান সাইমনপেত্রি প্রথম বাংলাদেশি (ভিসা গ্রহীতা) কয়েকবছর আগেও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী ৬ মিনিটের ভিডিও তৈরি করেছেন এবং ওয়েবসাইট খুলেছেন। ইউরোপের কোন একদেশে কাদের সিদ্দিকির ছবি দিয়ে ক্যালেন্ডার বানিয়েছে। এ ঘটনার একটি ছবি পুলিতযার পুরস্কার পেয়েছিল। এখনও পাকিরা এই ৫ জনের উদাহরন দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের সাথে অবাঙালী হত্যার তুলনা করে। এমনকি দেশী বিজাতীয়রাও বিদেশে দেশের এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ঘটনার প্রচার করে থাকে। এ সংক্রান্ত অনলাইনের ভিডিও গুলোতে বলা হয়েছে এদের বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগ ছিল। মাত্র ৫ জন হত্যার মধ্যে দিয়ে বিহারীরা স্বাধীনতার পর আন্তজারতিক সহানুভূতি অর্জন করে। একজন জাতিসঙ্ঘ আন্ডার সেক্রেটারি ভিত্তরিও উইন্সপিয়ার ১৫ দিন ঢাকা দিল্লি রাওয়ালপিন্ডি সফর করেছেন এই বিহারীদের স্বার্থে।