১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ শহীদ মিনারে সমাবেশ
শহীদ মিনারে এক সমাবেশ দেশের কয়েকজন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী বক্তব্য দেন। কবি সুফিয়া কামাল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন দেশের প্রতি মুঠো মাটি এখন রক্তে সিক্ত এ মাটির সন্মান যেন আমরা দিতে পারি। ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন তিনি মায়ের মত মহীয়সী। তিনি বলেন আমর এখনও শত্রুমুক্ত হইনি শত্রুদের মুক্তি বাহিনী ঘিরে রেখেছে। আপনারা বিচারের ভার হাতে নিবেন না। নেতারাই তাদের বিচারের বন্দোবস্ত করবেন। সমাবেশে ভাসন দেন সদ্য কারামুক্ত ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহবানে আমরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলান। তাকে কারামুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা পূর্ণ আনন্দ উদযাপন করতে পারছি না। আন্দোলনে সমর্থন দেয়ার জন্য তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা ফউজুল আকবর তার বক্তৃতায় বলেন এই আনন্দলগ্নে আমাদের মন বেদনায় ভারাক্রান্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহান আজ আমাদের মাঝে নেই। আমরা পাকিস্তানের কারাগার থেকে তাকে ছিনিয়ে আনবোই। সভাপতির ভাষণে কুদরত ই খুদা বাংলাদেশকে সত্যিকার সোনার বাংলায় পরিনত করার আহবান জানান। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ একদিন সোনার বাংলার সপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বাংলার ছেলেদের সাহসের প্রশংশা করে বলেন এরা অল্প দিনের প্রশিক্ষনে সফল যোদ্ধায় পরিনত হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ভারত ও ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মিত্র বাহিনীর সংবর্ধনা দেয়ার উদ্দেশে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করার জন্য বুদ্ধিজীবীরা সেখানে মিলিত হন। কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয় ডঃ কুদরত ই খুদা এবং আহ্বায়ক করা হয় ডঃ বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীরকে।