You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ সৈয়দপুর সারেন্ডার

১৬ ডিসেম্বর ৪৮ পাঞ্জাবের অধিনায়ক একজন ধোপার মাধ্যমে ২১ রাজপুতের কাছে আত্মসমর্পণ প্রস্তাব পাঠান। ৪৮ পাঞ্জাবের অধিনায়ক ২১ রাজপুত অধিনায়কের সাথে সারেন্ডার শর্ত চূড়ান্ত করনের জন্য সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছিলেন। অনুমতি পাওয়ার পর তিনি সেখানে যান এবং ২১ রাজপুত অধিনায়ক কে জানান তাদের গোটা ২৩ ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করবে। পাকিস্তানী ব্রিগেড কমান্ডারকে দারওয়ানিতে ৬ ডিভিশন প্রধান মেজর জেনারেল রেড্ডি এর সাথে দুপুর আড়াইটায় সাক্ষাতের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। ৬ ডিভিশন জিওসি পিসি রেড্ডি দারওয়ানিতে হেলিকপ্টারে আসেন। ২৩ ব্রিগেড কমান্ডার ইকবাল শফি যথারীতি দেখা করেন। ইকবাল শফি তার বাহিনী একত্র করার জন্য ১৭ তারিখ বিকেল পর্যন্ত সময় চান। আলোচনায় যে সকল প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়। অনুষ্ঠান হবে জমাজম বিমান বন্দরে ১৫ তা ৪৫ মিনিটে। ২১ রাজপুতকে সকল অস্র আটকের ক্ষমতা দেয়া হয়। ১২ রাজপুতানাকে সকল বন্দী দেখা শুনার দায়িত্ব দেয়া হয়।

৫ গ্রেনেদিয়ারস কে সৈয়দপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়। ৭ মারাঠা সৈয়দপুরে রিজার্ভ থাকবে। ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার রশিদ মুক্তিবাহিনীর একটি দল নিয়ে একাধিকবার সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট এ প্রবেশ করে বন্দী দের উপর প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ব্রিগেড কমান্ডার কাথপালিয়া তা কৌশলে ঠেকিয়ে রাখেন। পরে বাঙ্গালী বিহারী নির্বিশেষে অস্র উদ্ধারের তল্লাসি চালানো হয়। ৭ মারাঠা পুকুর ডোবা থেকে বিপুল অস্র উদ্ধার করে। এখানে আত্মসমর্পণ করেন ১১১ জন অফিসার, ১৫৫ জন জেসিও, ৪৪৩২ জন সৈনিক, অন্যান্য ৭৯, বেসামরিক ৩৭, মোট ৪৯৪১ জন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!