ইয়াহিয়ার পদত্যাগের চিঠিতে যা লেখা ছিলো | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১
১৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ইয়াহিয়া খানের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জুলফিকার আলী ভুট্টোকে জরুরী তলব
রাতে পাকিস্তান বেতারে প্রেসিডেন্ট পদে ইয়াহিয়া খানের পদত্যাগের সংবাদ ঘোষিত হয়। আগামীকাল পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রজারসের সাথে সাক্ষাতের পর এখন দেশের পথে রয়েছেন এবং আগামিকাল তিনি নতুন সরকার গঠন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লন্ডনে যাত্রা বিরতি কালে ভূট্টো সাংবাদিকদের বলেন পাকিস্তানের এখন কাজ হল টুকরা গুলো জোড়া লাগিয়ে একটি নতুন দেশ গড়ে তোলা। তিনি আরও বলেন মুসলমান বাংলা কখনো ভারতের সাথে থাকবে না। ূগলগ বতাল এক পাকিস্তানের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। ১৪ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তির পর তিনি বলেন এখনও পাকিস্তান একটি আছে।
তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তান একটি বিরোধীও অংশ পৃথক একটি দেশ নহে। তিনি বলেন সমস্যা সমাধানে তিনি জাতিসংঘের সহায়তা পাননি। তিনি ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কঠোর সমালোচনা করেন। তা ছাড়া জাতিসংঘে ভোট দানে বিরত থাকার জন্য ও তিনি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নিন্দা করেন। তিনি বলেন চীনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক চমৎকার তিনি অদুর ভবিষ্যতে চীন সফর করবেন বলে জানান। যাত্রা বিরতিকালে তিনি ব্রিটিশ পর রাষ্ট্রমন্ত্রী ডগলাস হিউমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ইসলামাবাদের পথে তিনি রোমে আবার যাত্রা বিরতি করবেন। পদত্যাগের কথা বলা হলেও সেখানে নিরব অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। জুনিয়র অফিসাররা সিনিয়রদের উপর মারমুখী অবস্থান নিয়েছেন এবং তাদের পছন্দ হিসেবেই ভুট্টো ক্ষমতা গ্রহন করতে যাচ্ছেন।