২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১
• হোটেল পূর্বানীতে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির এক বৈঠকে দলীয় খসড়া শাসনতন্ত্র বিবেচনার জন্য পেশ করা হয়। পার্লামেন্টারি পার্টির অনুমোদনের পর এই খসড়া শাসনতন্ত্র জাতীয় পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে দলের পক্ষ থেকে পেশ করা হবে। আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর পার্লামেন্টারি পার্টির ১৮৮টি ধারাবিশিষ্ট খসড়া শাসনতন্ত্র বিবেচনা ও পরীক্ষার জন্য একটি ৩০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বৈঠক শেষে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, খসড়া শাসনতন্ত্র পেশ করা ছাড়াও তাঁরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
• পাঞ্জাবের লাহোরে এক জনসভায় ভাষণদানকালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, জাতীয় পরিষদের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। ১২০ দিনের মধ্যে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ অবশ্যই শেষ করতে হবে বলে যে শর্ত রয়েছে তা সংশোধন অথবা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবী রাখতে হবে।
• ভুট্টোর পিপলস পার্টি ও কাইয়ুম মুসলিম লীগ ছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য সমস্ত দলের এম.এন.এ রা জাতীয় পরিষদের ৩ মার্চের ঢাকা বৈঠকে যোগদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কাউন্সিল মুসলিম লীগ, জমিয়তে ওলামায়ে পাকিস্তান, কনভেনশন মুসলিম লীগ, মারকাজি জমিওত তাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
• পশ্চিম পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য জনাব গাউস বক্স বেজেঞ্জো এবং বেলুচিস্তান হতে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাপ নেতা ড. আবদুল হাই বেলুচ ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আগমনের পর নিউমার্কেটে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে বলেন, আগামী ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অবশ্যই হবে। জনাব বেজেঞ্জো পূর্ব বাংলার জনগণের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বাংলার স্বায়ত্তশাসনের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন দান করে বলেন, বেলুচ ও পাকতুন জনগণও স্বায়ত্তশাসন ও জাতিগত অধিকারের দাবিতে একইরূপে নির্যাতন ভোগ করে আসছে। বালুচ ন্যাপ ভাসানির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ আকেঞ্জি ও জমিওতে অলামা পাকিস্তানের সাধারন সম্পাদক মৌলানা শাহ আহমেদ নূরানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে দেখা করেছেন।
• প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি সাত্তার ঢাকা এসেছেন
লেট নাইট নিউজ ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১
গভর্নর আহসান শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেছেন। আহসান কে গভর্নর এর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকায় পশ্চিম পাকিস্তানে পিপিপি এর হরতাল আহবান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ও আন্তজারতিক একাদশের মধ্যে বেসরকারি টেস্ট ম্যাচ ড্রয়ের পথে। রকিবুল ০১। লাহোরে ভুট্টোর জ্বালাময়ী ভাষণ। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিল হওয়ার আশঙ্কা। কয়েকজন পশ্চিম পাকিস্তানী এমএনএ এর ঢাকা উপস্থিতি। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় এমএনএ, এমপিএ দের সংবর্ধনা। শেখ মুজিবের ভাষণ।
১৯৭৯ জিয়াউর রহমানের পদোন্নতি ও অবসর
১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী এর প্রজ্ঞাপন এবং ১৯ এপ্রিল ১৯৭৯ সনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ভুতাপেক্ষিক বা পিছনের তারিখ থেকে লেঃ জেনারেল পদোন্নতি এবং অবসর নিয়াছেন। সেই অনুযায়ী তিনি চাকুরী ত্যাগ করেন ৭৮ সালের ২৮ এপ্রিল এবং অবসরের পরের দিন থেকে তিনি লেঃ জেনারেল পদোন্নতি পেয়েছেন। লক্ষণীয় ব্যাপার হইল এরশাদ কিন্তু সেনাপ্রধান হন ৭৮ এর ডিসেম্বরে। তাহলে ৮ মাসের সেনা প্রধান কে ছিলেন।