You dont have javascript enabled! Please enable it!

শরণার্থীদের সুষ্ঠু ত্রাণ ব্যবস্থার দাবিতে বিরাট মিছিল
৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির ডাকে গণ-ডেপুটেশন

আগরতলা, ১৫ জুন: বাংলাদেশ থেকে আগত নিঃস্ব শরণার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলবে না। অবিলম্বে শরণার্থী শিবিরের সমস্ত প্রকার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তাদের উপযুক্ত বাসস্থান ও খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামীদের সকল প্রকার অস্ত্র ও রসদ সাহায্য করতে হবে। অবিলম্বে বাংলাদেশের সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে, নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানাে চলবে না।
ইন্দিরা গান্ধীর সমাজতন্ত্রের বুলি নয় প্রমাণ—চাই-স্নােগানে স্নােগানে মুখরিত রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরের আকাশ-বাতাস।
আজ ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির আহ্বানে লে, গভর্নরের নিকট গণ-ডেপুটেশন। বিকাল ৫টার পর থেকে পােস্ট অফিস চৌমুহনীতে অফিসের কর্মচারী, শিক্ষক, ছাত্র, যুবক, মহিলা, অরুন্ধুতিনগরের শিল্প শ্রমিক, চন্দ্রপুরের রিকশা শ্রমিকরা দলে দলে জমায়েত হতে থাকেন। এখান থেকে মিছিল শুরু হয় এবং ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনীতে গিয়ে মিছিল পুলিশ বেষ্টনির সামনে থেমে যায়। গণমিছিলের পক্ষ থেকে ৭ জনের এক প্রতিনিধি দল লে, গভর্নরের অনুপস্থিতিতে চিফ সেক্রেটারির নিকট শরণার্থী শিবিরের দুর্নীতি বন্ধ করা, উপযুক্ত পানীয়-জলের ব্যবস্থা, চিকিৎসার সুব্যবস্থা, শিবিরের বাইরে অবস্থানরত শরণার্থীদের রেশন অথবা ক্যাশ ডােল দেওয়ার দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি পেশ করেন।
চিফ সেক্রেটারি প্রতিনিধিদের জানান যে, শিবিরের দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। প্রতি ৫০০ জনের জন্য একটি করে টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে, চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে নাকি ১০০ জন ডাক্তার বিভিন্ন শরণার্থী শিবির অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন এবং শিবিরের বাইরে অবস্থানরত শরণার্থীদের রেশন বা ক্যাশ ডােল দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিনিধিরা অবিলম্বে এ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সূত্র: দেশের ডাক
১৮ জুন, ১৯৭১
৩ আষাঢ়, ১৩৭৮

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!