You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ জন কেলীর ডায়েরী থেকে

আজ সকালে কেলি, কর্নেল গফুর, রেডক্রসের সভান লাম্পেল, সাবেক গভর্নর মালিক সকালেই হোটেলে একত্র হন। কেলি লিখেছে আমি ব্রিটিশ বাহিনীর অফিসার হিসেবে উত্তর আফ্রিকায় যুদ্ধ করেছি। চূড়ান্ত আক্রমনে কি রকম প্রানহানী হয় তা আমার জানা আছে। তারা নিয়াজিকে ফোনে বারবার চেষ্টা করে পাচ্ছিলেন না। ভারতীয় কমান্ডের দেয়া সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কর্নেল গফুর বলেন সম্ভবত ভারতীয় বিমান আক্রমনে টেলিফোন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে থাকতে পারে নয়ত তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যেই ঢাকার আকাশে ভারতীয় বিমানের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এবং ঢাকার প্রান্ত সীমা থেকে আর্টিলারি এবং পদাতিক আক্রমণের জন্য তারা প্রস্তুত হয়ে আছে।

তারা(গফুর বাদে) নিয়াজির সাক্ষাতের উদ্দেশে হোটেল ত্যাগ করে একটু আগালেই জাতিসংঘের আরেক কর্মকর্তা পল মার্ক হেনরির সাথে দেখা হয়। তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরছিলেন। হেনরি তাদের জানান আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে ভারতীয় সিগন্যালে এবং জাতিসংঘে প্রেরন করা হয়েছে। তারপরেও তারা নিয়াজির কোর ওয়ার রুমে যান। সেখানে তারা নিয়াজিকে পান নাই পেয়েছেন রাও ফরমান আলীকে। ফরমান বলেন তিনি সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলার জন্য অথরাইজড অতএব তার সাথেই আলাপ করতে পারেন। তিনি তাদের বলেন তাদের যোগাযোগ টাওয়ার ধ্বংসের জন্য তারা ভারতের দেয়া সিগন্যালে যোগাযোগ করতে না পারায় জাতিসংঘের মাধ্যমে তা করেছে। কেলি তার সিনিয়র হেনরির কাছে আবার বার্তা দেন যাতে দিল্লী আল্টিমেটাম ৬ ঘণ্টা পিছিয়ে দেয় এবং আত্মসমর্পণের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার জন্য যাতে প্রতিনিধিদল প্রেরন করে। তাদের নিরাপত্তার সবরকম বেবস্থা নেয়া হয়েছে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!