১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম আক্রমন ও আত্মসমর্পণ
রামগড়ে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। মহকুমা সদর রামগরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ক্যাপ্টেন কাদের নগর রাখা হয়। মুক্ত সীতাকুণ্ডে বেসামরিক প্রশাসন চালু করেন আঞ্চলিক পরিষদের প্রশাসক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী এমপিএ। চট্টগ্রাম সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুমিরা ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। ব্রিগেডিয়ার সান্ধুর ৮৩ ব্রিগেড সীতাকুণ্ডের পূর্ব দিক দিয়ে চট্টগ্রামের কাছে উপনিত হলে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাঠায়।
আকাশবাণী দিল্লী
আকাশবাণী দিল্লীর গ্রিনিচ সময় ২ টা ৪৫ মিনিটের খবরে বলা হয় ভারতীয় নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দরে রকেট হামলা এবং বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে। হামলার পর পাকিস্তানের কোন নৌযান চলাচল করতে পারছে না।
কুমিল্লা শহরে উৎসব চলছে। শহরে দেশের জাতীয় পতাকা সর্বত্র চোখে পড়ছে। বিজয় স্মরন রাখতে রাজাবাঘে(?) একটি স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়েছে। ময়নামতিতে আজও শেলিং হয়েছে।
চাপাই নবাবগঞ্জ মুক্ত
১৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হলেও মুক্তিযোদ্ধারা প্রানপন যুদ্ধ করেন রাতেই পাক বাহিনী রাজশাহীর দিকে চলে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে প্রবেশ করে। তারা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে সোনা মসজিদে দাফন করে। দাফন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা চাপাই নবাবগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরাবাদ নামকরন করেন।