১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ গভর্নর ও মন্ত্রীপরিষদের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহন
পরিস্থতি পর্যালোচনার জন্য সকাল ১১ টায় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক বসে। কিন্তু কতক সামরিক কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ গভর্নর হাউজেই আসেনি। রাও ফরমান তখন সামরিক অফিসারদের সাথেই আলাপ করছিলেন। গভর্নরের কর্মকর্তারা আগেই আত্মসমর্পণের পক্ষে ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বা নিয়াজির কারনে তা বিলম্বিত হচ্ছিল। সাড়ে এগারটায় একযোগে ৬টি মিগ খুব নিচু দিয়ে উড়ে গভর্নর হাউজে আক্রমন করে। আক্রমনে গভর্নর হাউজের ক্ষতি হয়। দুপুরে হামলা কমে আসলে তারা ট্রেঞ্চে আশ্রয় নেয়। গভর্নর তার পরিবারকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। বিকেলে গভর্নর এবং তার কন্যা ইন্টারকন্টিনেন্টালের নিরপেক্ষ জোনে আশ্রয় নেয়। ভূগর্ভস্থ এ ট্রেঞ্চটি আসলে মাটি ঘেরা ঘর। সেখানে সব সুযোগ সুবিধাই ছিল। ৬৫ সালের যুদ্ধের সময় তখনকার গভর্নর এটি নির্মাণ করেছিলেন। জায়গাটিকে ছোট পাহাড়ের আদলে রূপ দেয়া হয়েছে। পাহাড়ের উপর মন্দিরের মত কামরা তৈরি করা হয়েছে।(ভারতের বৈমানিকদের বিভ্রান্ত করার জন্য মন্দির রুপ দেয়া হয়েছিল)। পাহাড়ের বুক কেটে তৈরি করা হয় তিন কামরার একটি মনোরম ঘর। কাজের জন্য টেবিল রাখা হয়েছে। বাথরুম ও করা হয়েছিল। রেডক্রস জানিয়েছে তাদের কাছে ৬৫ জন সরকারী কর্মকর্তার তালিকা এসেছে আশ্রয়ের জন্য। তবে ১৬ শীর্ষ কর্মকর্তা এর মধ্যেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।