১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১
• আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি জাতীয় পরিষদে শেখ মুজিবকে দলিয় নেতা, সৈয়দ নজরুলকে উপনেতা, কামরুজ্জামানকে সম্পাদক, ইউসুফ আলিকে চিফ হুইপ, আব্দুল মান্নান ও আমিরুল ইসলামকে হুইপ নির্বাচিত করে। প্রাদেশিক পরিষদে ক্যাপ্টেন মনসুর আলিকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। পত্রিকা সূত্র বলেছে মুস্তাক স্পিকার হতে পারেন। প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের বাকি পদসমূহ পরে প্রকাশ করা হবে।
• ভাষা আন্দোলনের স্মরণে বাংলা একাডেমীর সপ্তাহ ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শেখ মুজিব বলেন তার দল ক্ষমতায় গেলে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করবে। তিনি বলেন উর্দু কে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাবের সময় করাচিতে সংসদে কংগ্রেস দলীয় ধিরেন্দ্র নাথ ব্যাতিত কোন এমএলএ এমসিএ এর প্রতিবাদ করেন নাই। তিনি আন্দোলন সংগ্রামে এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
• জাতীয় লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলা ছাত্র লীগের ভাষা শহীদের স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বক্তব্য দেন।
• ভুট্টোর হুমকি পার্লামেন্টারি রাজনীতির জন্য দুঃখজনক ঘটনা গতকাল ছাত্রলীগের ভাষা শহীদ স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল হাসিম।
• নেজামে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ও প্রাদেশিক সভাপতি মওলানা সিদ্দিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সভাপতি পিডিপি এর প্রাদেশিক সভাপতি নুরুল আমিন, ন্যাপ ওয়ালি, জাতীয় লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ভুট্টোর মন্তব্বের কঠোর সমালচনা করেন।
• কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী এ. কে. এম হাফিজউদ্দিন আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁর বাসভবনে দেখা করেন।
• প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সভাপতিত্বে আজ প্রেসিডেন্টের মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীতে উপস্থিত মন্ত্রীপরিষদের সদস্যগণ এতে যোগদান করেন। এই সভায় যোগদানকারীরা হলেন, প্রেসিডেন্টের প্রধান স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল পীরজাদা, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এম. এম. আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান জনাব এম. এইচ. সুফী।
• কাইয়ুম মুসলিম লীগের প্রধান খান আবদুল কাইয়ুম খান ও কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল নূর খান বিকেলে প্রেসিডেন্ট হাউজে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সাথে আলাদা আলাদা বৈঠকে মিলিত হন।