১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ
রাও ফরমান আলী
রাও ফরমান আলী একাই নিরপেক্ষ জোন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকা ঘুরে গেছেন। তার কথা বার্তায় পরাজয়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। তিনি হোটেলের ভিতরে যাননি রাস্তার উপর দাড়িয়েই কথা বলেছেন। (নোটঃ রাও এর একটি সাদাকালো ছবি ক্যাপশন দিয়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর বলে। বিবিসি উর্দু ভিডিও অনুযায়ী রাও ১৩ তারিখ সেখানে গিয়েছিলেন সম্ভবত উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তাদের আশ্রয়ের বেবস্থা করার জন্য) ঢাকায় সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ ডেইলি টেলিগ্রাফ সাংবাদিক হোলিংওয়ারথ জানিয়েছেন আত্মসমর্পণ ইস্যুতে পাক সেনাবাহিনীতে অন্তর্বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। ঢাকার সামরিক কম্যান্ড গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে এক প্রকার গৃহবন্দীর মত রাখা হয়েছে। এদিকে পাক সরকারের এক মুখপাত্র জাতিসংঘে প্রেরিত রাও ফরমান আলীর পত্রের সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ অনুমোদন নেয়া হয়েছে এবং পত্রের বিষয়ে আশু কার্যক্রম নেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানানো হয়েছে। হোলিংওয়ারথ আরও বলেন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা এখন প্রকাশ্যই স্বীকার করছেন যুদ্ধ তাদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। তার মতে ঢাকা দখলে ভারতীয় বাহিনীর দুদিনের বেশী লাগার কথা নয়।
নিয়াজি
পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী নিয়াজি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কাছে গিয়েছিলেন ১১ তারিখে। বিদেশী ভিডিও চিত্র অনুযায়ী ১৩ তারিখ। বিবিসি কলকাতা বেতারের সুত্র ধরে প্রচার করেছিলেন নিয়াজি আত্মগোপন করেছেন। এ জন্যই তিনি এখানে এসে বিবিসি সাংবাদিক কে ডেকে তার উপস্থিতি দেখান। এদিনও তিনি বলেন ভারতীয় বাহিনী ঢাকা দখল করবে তার লাশের উপর দিয়ে।
মেজর জেনারেল জামশেদ
বিবিসি উর্দুকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে মেজর জেনারেল জামশেদ কথা বলেছিলেন। তিনিও নিয়াজির মত আত্মপ্রত্যয়ই ছিলেন।