You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.11 | যুদ্ধ আপডেট খুলনা- তিন ব্যাটেলিয়ন পাক সৈন্য আত্মসমর্পণ করে - সংগ্রামের নোটবুক

১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট খুলনা

৯ তারিখে ভারতীয় ৯ ডিভিশনের ৩২ ব্রিগেড ৪৫ ও ৬৩ কেভেলরির দুটি স্কোয়াড্রন নিয়ে খুলনায় পূর্ণ হামলার জন্য অগ্রসর হয়। এর আগে ভারতীয় বাহিনী ফুলতলার কাছে অবস্থান নিয়েছে। ৮ মাদ্রাজ ছেঙ্গুটিয়া আক্রন করে তা দখল করে। ১৩ ডগরা অপর এক স্থানে রোড ব্লক দেয়। এ দুই ব্যাটেলিয়ন জাফরপুরে ১০ তারিখে একত্রিত হয়। যশোর থেকে খুলনায় পিছু হটার সময় পাক বাহিনী অনেক ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংস করে দেয় রাস্তার দু ধারে ছিল জলাভুমি। পাক বাহিনী ছোট ছোট আকারে রামনগর, সিমলা, নোয়াপারা ও ফুলতলায় অবস্থান নেয়। গত ৩-৪ দিনে এসব বাধা অতিক্রম করে ভারতীয় বাহিনী পাক বাহিনীর মুল অবস্থান দৌলতপুরে পৌছায় এদিন। দৌলত পুরের পূর্বে ভৈরব নদি আর পশ্চিমে জলা এখানে তারা দুই মাইল লম্বা প্রতিরক্ষা লাইন তৈরি করে যা ভেদ করা ভারতীয় বাহিনীর জন্য প্রবল বাধা হয়ে দাড়ায়। খুলনার এ বাধা টপকাতে সমস্যা হওয়ায় ৯ ডিভিশন ফরিদপুরের দিকে মনোযোগ কমিয়ে দিয়ে খুলনার দিকেই মনোনিবেশ করে।

এদিন ভোরে ৮ মাদ্রাজ ফুলতলা দখল করে। ১৩ ডগরা ফুলতলা বাইপাস করে আত্রার দিকে এগুতে থাকে তারা যখন আত্রা পৌঁছে পাক বাহিনী সেখান থেকে পিছু হটে। ভারতীয় বাহিনী পশ্চিম দিক দিয়ে দৌলতপুর আক্রমন করার জন্য কয়েকটি ট্যাঙ্ক দিয়ে বিভক্ত ৭ পাঞ্জাবকে দৌলতপুরের কাছে আরাংহাটায় পাঠায়। এখানেও রাস্তা ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়ায় ৭ পাঞ্জাব এগুতে পারছিল না তার উপর পাক বাহিনীর শেলিং হচ্ছিল তাদের উপর। ১৩ ডগরা ছাতালায় পাক নিখুত শেলিং এ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিরোমণি থেকে শেলিং সত্ত্বেও ৮ মাদ্রাজ গিলাতলা দখল করে। ব্যাপক ভারতীয় ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে ভারতীয় বাহিনী এখানে পাক বাহিনীকে পরাভূত করতে সক্ষম হয়। তিন ব্যাটেলিয়ন পাক সৈন্য আত্মসমর্পণ করে।