১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভারত নিশ্চিত হয় যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব পাকিস্তানে আক্রমনে জড়াবে না
সাধারন পরিষদে ১০৪ ভোটে পাক ভারত যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব পাশ হলে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন তার দেশ প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে। তিনি পরে আবার বলেন তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেননি এবং গ্রহন ও করেননি। এর মধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা তথ্য জানিয়ে দেয় সীমান্তে চীনের কোন তৎপরতা নেই। নিয়াজি এর মধ্যে ঢাকার চীনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কনসুলেটেও ধর্না দিয়েছেন। ধর্নার ফলে তারা নিয়াজিকে জানায় তারা তাদের সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত জানে না। নিয়াজি আবার ধর্না দিলে তাদের ১২ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে। এ ধরনের বার্তা গুলো রাওয়ালপিন্ডিতে পাঠানোর সময় ভারতীয় বাহিনী ইন্টারসেপট করে। ভারত নিশ্চিত হয় চীন ও আমেরিকা ঘেউ ঘেউ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ভারত নতুন মনোবলে নিরাপত্তা পরিষদে পরের ৪ দিন শক্ত অবস্থান নেয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩য় ভেটোর পর জানিয়ে দেয় তারা আর ভেটো দেবে না অতএব যা করার তারাতারি কর। ভারত পূর্ব পাকিস্তান থেকে এবং চীনের জন্য বরাদ্ধ সৈন্য কাটছাঁট করে পশ্চিম ফ্রন্টে পাঠানো শুরু করে। পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু ভূখণ্ড দখলে না নিলে পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ড নিয়ে যুদ্ধোত্তর দরকষাকষির যেন সুযোগ না পায়। হিলি সেক্টর, পঞ্চগড় সেক্টর, মৌলভীবাজার সাতক্ষীরা এলাকা থেকে কিছু বাহিনী চলে যায় পশ্চিম ফ্রন্টে পরের তিন দিনেই ভারত পশ্চিম পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য ভুমি দখল করে নেয়। পাকিস্তানকে পরে তার মুল ভূখণ্ডের জন্য সিমলা চুক্তিতে যেতে হয়।