১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ বাংলাদেশ সরকার কার্যক্রম
যুদ্ধ পূর্ব আওয়ামী লীগ মুখপাত্র বলে বিবেচিত যুদ্ধকালীন কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা পিপল খান সেনা বন্দীদের হত্যা না করে জিম্মি হিসেবে রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও জনগনের প্রতি আহ্বান জানান কারন এদের বিনিময়ে হয়তো শেখ মুজিবকে ফেরত পাওয়া যাবে। পত্রিকায় ভারতীয় সেনা প্রধানের আত্মসমর্পণ আবেদন নির্দেশ প্রচার করা হয় সেখানে তিনি রাও ফরমানকে ভুলে ইস্টার্ন কম্যান্ড প্রধান বিবেচিত করে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন রাও ফরমান আমি খবর পেয়েছি তুমি পালাবার জন্য কিছু নৌযান ও একটি বিমান প্রস্তুত করে রেখেছ। আমরা তোমার পাইলটের নাম্বার জানি তার নাম্বার আর কে ৬২২। আমি অনেক সুযোগ দিয়েছি আর নয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধ বন্দীর সুযোগ নাও না হলে চরম শিক্ষার জন্য প্রস্তুত হও।
যশোরে বিদেশী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন যশোরে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের পাকিস্তান যুদ্ধবন্দীদের হত্যা না করে জিম্মি হিসেবে রাখার আবেদন জনগনের খুব কম অংশই শুনবে। তারা জেনেছেন এ পর্যন্ত ১৫০০ দালাল আটক হয়েছে এবং এদের অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র জানিয়েছে টাঙ্গাইল যশোর সিলেট নোয়াখালী জেলায় বেসামরিক প্রশাসন কাজ শুরু করে দিয়েছে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বেসামরিক প্রশাসন চালু করেছেন প্রশাসক জহুর আহমদ চৌধুরী। এর আগে নোয়াখালীর ৩ মহকুমা, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামে সরকারীভাবে বা বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ প্রশাসন চালু হয়েছে।