You dont have javascript enabled! Please enable it!

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট – ইস্টার্ন কম্যান্ড

জেনারেল নিয়াজী

৮-৯ তারিখে নিয়াজি নিভৃতে এবং চুপচাপ থাকায় আকাশবাণী ও বিবিসি গত রাতের সংবাদে জানায় যুদ্ধে পরাজয়ের আশংকায় লে. জেনারেল নিয়াজী পলায়ন করেছেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে মেজর জেনারেল জামশেদ সহ ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলে যান। রেডক্রস তাদের হোটেলের ভিতরে অস্র নিয়ে যেতে বাধা দিলে তিনি সাকুরা পর্যটন তথ্য কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি দম্ভভরে বলেন, কোথায় বিদেশী সাংবাদিকরা, কোথায় বিবিসি এর সাংবাদিক? আমি পলাতক নই। আমি এখনও পূর্ব পাকিস্তান আর্মি কম্যান্ড করে যাচ্ছি। আমি আপনাদের জানাতে চাই, আমি কখনো আমার সেনাবাহিনীকে ছেড়ে যাব না। আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাব।

জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব হস্তান্তর
গভর্নর মালিকের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও পশ্চিম পাকিস্তানী মুখ্য সচিব মুজাফফর হোসেন ক্যান্টনমেন্টে জেনারেল নিয়াজির সঙ্গে আত্মসমর্পণের বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ঢাকায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি পল মার্ক হেনরির কাছে ‘আত্মসমর্পণের’ প্রস্তাব হস্তান্তর করেন। গভর্নরের ইয়াহিয়ার নিকট প্রেরিত বার্তার আলোকে ইয়াহিয়ার ফিরতি বার্তায় এ বিষয়ে গভর্নরকে ক্ষমতার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সে প্রেক্ষিতে গভর্নর যে প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন তাতে নাম মাত্র সংযুক্ত থেকে পাকিস্তানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যাবস্থা ছিল। এ প্রস্তাব পরে বাতিল হয়। ভুটটো জাতিসংঘে পৌছার পর সেখানে এ ধরনের প্রস্তাব সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়।