১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট – ভারত
ইন্দিরা গান্ধী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশাল ছাত্র সমাবেশে বলেন, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত জাতিসংঘের আহবান ভারত প্রত্যাখ্যান করেনি বা গ্রহণও করেনি। প্রস্তাবটি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি বলেন বিজয় তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত এক কোটি শরণার্থী তাদের বাস্তুভিটায় ফিরে যেতে পারবে। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভারতে অবস্থানরত শরণার্থীদের জন্য এক লক্ষ দশ হাজার টাকার চেক ইন্দিরা গান্ধীর কাছে হস্তান্তর করেন।
জনসংঘ
ভারতের জনসংঘ দিল্লীতে মার্কিন বিরোধী সমাবেশ করে। তারা মিছিল নিয়ে মার্কিন দুতাবাসে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দলের নেতারা দুতাবাসে স্মারকলিপি দেয়। তারা ভারতে মার্কিন সামরিক সাহায্য বন্ধ এবং অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধের হুমকির নিন্দা করেন।
আরও সৈন্য প্রেরন
কম সময়ে অধিক অগ্রগতির জন্য ভারত পশ্চিম ফ্রন্টে আরও সৈন্য প্রেরন করছে। দিল্লী রেল স্টেশনে বেশ কয়েকটি রিজার্ভ ট্রেনে তারা পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছে।
ফ্রি ক্যান্টিন
দিল্লীবাসী ভারতীয় সশস্র বাহিনীর জন্য একটি ফ্রি ক্যান্টিন খুলেছে।