You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.08 | যুদ্ধ- খুলনা, কুষ্টিয়া ও জামালপুর - সংগ্রামের নোটবুক

৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ- খুলনা, কুষ্টিয়া ও জামালপুরে

আলমডাঙ্গার শেষ পাক ঘাটি ত্যাগ করার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা মুক্ত হয়।
খুলনায় পাক বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অগ্রাভিযান রোধ করার জন্য ফুলতলায় কয়েকটি প্রতিরোধ ক্যাম্প স্থাপন করে। ভূ প্রকৃতি ভারতীয় অগ্রাভিযান রোধে কিছু সহায়ক ভুমিকা পালন করে কারন এখানের ভু প্রকৃতি ছিল জলামগ্ন। আর রাস্তাগুলো ট্যাঙ্ক গমনাগমনের জন্যও সুবিধাজনক ছিল না। লেঃকঃ তেওয়ারি তার বাহিনীকে রাত ৮ টায় প্রধান সড়ক ধরে যশোর মনিরামপুর নোয়াপারা অগ্রসর করাতে থাকেন। পরদিন ভোরে তারা ফুলতলার ৫ কিমি আগে জাফরপুর পৌঁছান
কুষ্টিয়া – মাগুরা ফ্রন্ট
৭ তারিখ কোন আক্রমন ছাড়াই পাকিস্তানী নবম ডিভিশন মধুমতি নদী পার হয়ে মধুখালি হয়ে ফরিদপুরে অবস্থান নেয়। ভারতীয় ৬২ ব্রিগেড ৮ তারিখ মাগুরায় তাদের কাউকে পায়নি। সেখানে অবস্থানরত ৩৮ এফএফ ও নবম ডিভিশনের পথে ফরিদপুর চলে যায়। কুষ্টিয়ার বিপরীতে অবস্থান নেয়া ব্রিঃ জইল সিং এর ৭ ব্রিগেড এতদিন বিশ্রামে ছিল জিওসি মেজর জেনারেল ব্রার এর আদেশে এই ব্রিগেড কুষ্টিয়ার দক্ষিনে ঝিনাইদহ মোতায়েন করা হয়। ৭ ব্রিগেডকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দখলের দায়িত্ব দেয়া হয়।
জামালপুর ফ্রন্ট
৭ তারিখ রাত থেকেই মিত্র বাহিনী ১ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্রহ্মপুত্র নদী অতিক্রম করে এপারে আসতে থাকে। পাক বাহিনীর কোন প্রতিরোধ না থাকায় পারাপার চলমান থাকে। গরুরগাড়ী সঙ্কটে ভারী অস্র পারাপারে সমস্যা হওয়ায় এগুলি গন্তব্যস্থলে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না।

ছবিটা বিবিসি বাংলা পোস্ট দিয়েছে। ক্যাপশনে লেখা- সম্ভবত ১৯৭২। শেখ মুজিব ১৯৭৩ এর আগস্টে যুগোস্লভিয়া সফর শেষে লন্ডন হয়ে অটোয়া কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। লন্ডনে যাত্রা বিরতিকালেই তিনি এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। জানুয়ারী ৭২ এ পোশাক ছিল না। আর আগস্ট ৭২ এ পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না।