You dont have javascript enabled! Please enable it!

৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ আপডেট – ঝিনাইদহ ফ্রন্ট

মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী যৌথভাবে ৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের মাঝে রাস্তা ব্লক করে অবস্থান গ্রহন করে ফলে পাকিস্তানী ৫৭ ব্রিগেডের দক্ষিনে যাওয়ার আর পথ ছিল না তার উপর ৪ তারিখে তার ডিভিশন সদর দপ্তর মাগুরায় চলে গিয়েছিল এবং অপর ব্রিগেড যশোর ছেড়ে নোয়াপাড়ায় স্থানান্তর করে। চুয়াডাঙ্গার থানা গুলিও মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মিত্র বাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়। ৯ ডিভিশন সদর মাগুরায়ও এসেই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। জিওসি হোসেন আনসারী দুটি ব্রিগেড তার কাছে আনতে চেয়ে পারেননি। ব্রিঃ হায়াত মনে করেছিলেন খুলনা থেকে নৌ পথে পালানো সহজ হবে অথবা সপ্তম নৌ বহর তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ব্রিঃ মঞ্জুর শুরু থেকেই পলায়নপর ছিলেন।

তিনি চিন্তা করলেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকা ১৬ ডিভিশন এলাকায় চলে যাবেন যেখানে এখন পর্যন্ত মিত্র বাহিনী অগ্রসর হয়নি। হোসেন তার অধিনস্ত কর্নেল আফ্রিদিকে দিয়ে ৩৮ এফএফ এবং ৫০ পাঞ্জাবের অংশ বিশেষ দিয়ে বিশেষ টাস্ক ফোরস গঠন করেন এবং তার কাছে রাখতে চাইলেন।লেঃকঃ আফ্রিদি তাহা প্রত্যাখ্যান করেন। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা দুর্বল ও খণ্ডিত ৯ ডিভিশনকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। ৭ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মাগুরা ত্যাগ করে কামারখালী দিয়ে ফরিদপুরের অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। মাগুরায় আকবর বাহিনী সেক্টর বাহিনীর সাথে ভারতীয় ২/৯ গুর্খা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলে। ঝিনাইদহে ভারতীয় ৪১ ব্রিগেডে রেশন ঘাটতি দেখা দিলে বিমানবাহিনী আকাশ থেকে খাদ্য সামগ্রী নিক্ষেপ করে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!