You dont have javascript enabled! Please enable it!

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ঢাকার বাহিরে ভারতীয় বিমান আক্রমন

টানা দুদিন পাকিস্তান বিমান বাহিনী তৎপর থাকার পর সামান্য বিশ্রামে গেলে ১০ টি ভারতীয় জেট ঢাকার দুটি বিমানঘাঁটিতে আক্রমন করে। তারা ৫০০ পাউনড এর কয়েকটি বোমা ফেলে। এর দুটি রানওয়ের উপর আঘাত হানে ফলে আবারো রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে দুটি বোমা রানওয়েয়েতে আঘাত হানে তাদের মধ্যে ব্যাবধান ছিল ১২০০ মিটার। ১০ ফুট প্রস্থ ২০ ফুট দৈর্ঘ্য দুটি গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় রানওয়ে অকার্যকর হয়ে যায়। এই রাতেই বেশীরভাগ পাইলটকে রেঙ্গুন হয়ে পশ্চিম পাকিস্তান প্রেরন করা হয়। কুর্মিটোলায় নব নির্মিত বিমানবন্দর অচল হওয়ায় বিমানবাহিনী সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়। অপরদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনী হালুয়াঘাটে পাক অবস্থানের উপর ১৩ টি ভারী বোমা বর্ষণ করে। উত্তর সীমান্তের সকল বিওপি সহ সকল সীমান্ত ঘাঁটির পতন হলেও হালুয়াঘাটের পতন হয়নি। এখানে ৩৩ পাঞ্জাবের সদর। ভারতীয় বিমান বাহিনী ৩১ বালুচ সদর জামালপুরে ৮টি ভারী বোমাবর্ষণ করে। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনী আদমজীতে অবাঙ্গালী শ্রমিক কলোনিতে বোমা হামলা করলে অনেক হতাহত হয়।

বিমানবাহী ভারতীয় জাহাজ থেকে চালনা কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামে বোমা হামলা করা হয়। রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে পিকিং রেডিও বলেছে ভারতীয় বিমান হামলায় চট্টগ্রামে তাদের দুটি গানবোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব কেবি লাল বলেছেন সকল নিরপেক্ষ দেশের উচিত চট্টগ্রাম বন্দর এড়িয়ে চলা। তিনি বলেন ৪ তারিখে দুটি গ্রীক জাহাজ চট্টগ্রামে ভারতীয় আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তার কিছু কর্মচারী আহত হয়েছে। হেলিকপ্টারের সাহায্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চারটি অভিযান পরিচালনা করেন ফ্লাইট লেঃ বদরুল বদরুল আলম ও সহযোগী পাইলট গন। আক্রমণ চারটি করা হয় সিলেট, মৌলভীবাজার ও কুশিয়ারা নদীর লক্ষ্যবস্তুতে। শেরপুর ও সাদিপুরের দুটি ফেরি ছিল কুশিয়ারা নদীর লক্ষ্যবস্তু। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রজারস চট্টগ্রাম বন্দরে বেসামরিক জাহাজে গোলাবর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেখানে ভারতীয় নৌ বাহিনীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভিক্রান্ত জাহাজ থেকে বিমান আক্রমন হলে বাকি স্টেট নামে পরিবহন জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ ৩ জন আহত হয়। কার্গোটি চট্টগ্রাম থেকে রেঙ্গুন যাচ্ছিল।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!