৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ হিলি আক্রমন
হিলির মুল অবস্থানে কয়েকদিন আক্রমন স্থগিত থাকার পর ভারতীয় বাহিনী আজ রেল লাইন এবং মাইন সঙ্কুল ধান ক্ষেত ধরে অগ্রসর হয়ে মারাপারায় ঘাটি করে। পাকিস্তানী বাহিনীও তাদের উপর প্রচণ্ড আক্রম চালাতে থাকে। ভারতীয় বাহিনিও তাদের উপর গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তান বাহিনী এখন তিন দিক দিয়ে ভারতীয় বাহিনী দ্বারা পরিবেষ্টিত। তা সত্ত্বেও তাদের অগ্রগতি ধীর। ভারতীয়রা এখানে তিন সপ্তাহ যাবত আক্রমন করে যাচ্ছে। এ ফিল্ম যখন ধারন করা হয় সেদিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সাধারন জনগন হতাহতের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের জনগন আরও অভ্যন্তরে আশ্রয়ের জন্য চলে যাচ্ছে।
২৪ নভেম্বর ভারতীয় বাহিনী এখানে পাক ৪ এফএফ এর সি কোম্পানির হাতে বিপর্যস্ত হওয়ার পর ৫ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় বাহিনী প্রায় ১০ দিন বিরতির পর আবার হিলিতে হামলা শুরু করে। হিলির উত্তরদিকে অবশ্য ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করে ভাদুরিয়াতে স্থির হয়ে ছিল। হিলিতে পাক সি কোম্পানি প্রথম ৪ টি হামলা সফল ভাবে প্রতিরোধ করে ৫ম হামলার সময় সি কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আকরাম নিজেই রকেট লাঞ্চার নিয়ে ভারতীয় ট্যাঙ্ক পজিশনের ১০০ গজের মধ্যে যেয়ে হামলা শুরু করেছিলেন। তিনি ২টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসের পর ভারতীয় বাহিনীর মেশিন গানের গুলিতে নিহত হন। তাকে দক্ষিনে জয়পুরহাটে এক গ্রামে দাফন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানে তিনিই একমাত্র পাকিস্তানী নিশানে হায়দার ( বীরশ্রেষ্ঠ) খেতাবধারী।