You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.06 | জাতিসংঘ কর্মচারীদের তেজগাও বিমানবন্দরে অপেক্ষা ও ভারতীয় বিমান আক্রমন - সংগ্রামের নোটবুক

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ জাতিসংঘ কর্মচারীদের তেজগাও বিমানবন্দরে অপেক্ষা ও ভারতীয় বিমান আক্রমন

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থেকে বিদেশী সাংবাদিকরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচার করবে তা হয়না। এ ফুটেজটি পাকিস্তানের বিপরীতে নয় কিন্তু এটি সময় মত তাদের সদর দপ্তরে প্রেরন করা যায়নি। ফুটেজটি যথাযথ ভাবে লিখে বার্মায় পলায়নপর পাকিস্তানী বিমানে করে বার্মায় মার্কিন দুতাবাসে পাঠানোর জন্য দেয়া হয়। এটি পাঠিয়েছিলেন ভিজ নিউজ সাংবাদিক সেপ রীফ। রেঙ্গুনে বার্মিজ সরকার ফুটেজ আটক করে এবং অনেক পরে পাকিস্তান টেলিভিশনের কাছে পাঠায়। পি টি ভি পরে ফুটেজটি ভিজ নিউজকে ফেরত দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৩ মাস পেড়িয়ে গেছে। তিভিতে এর গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে তা সত্ত্বেও এটি বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে ২৬ মার্চ ভিজ নিউজ এটি মুক্ত করে। এ ফিল্ম ধারন করে সেপ রিফ তেজগাও বিমানবন্দরে যখন একটি ভারতীয় সুখই জেট বিমান বন্দরে হামলা করেছিল। এদিন জাতিসংঘ কর্মচারীদের নেয়ার জন্য একটি বিমান আসার কথা ছিল।

কিন্তু এ হামলায় রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুখই এর হামলার সময় তাদেরও বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। বাঙ্কারে জাতিসংঘ কর্মী ও তাদের পরিবারের ছবি গুলো নিতে পেরেছেন তারা। সেপ রিফ খুবই সাহসিকতার সহিত কিছু চিত্র ধারন করেছিলেন। এ ফুটেজটি একটিভ যুদ্ধের সেরা ভিডিও হিসেবে বিবেচিত। ফুটেজের শেষে একটি ভারতীয় এস ইউ -৭ বিমানের ক্রাশের ছবি নিঃসন্দেহে একটি সেরা চিত্র ধারন। এদিন জাতিসংঘ কর্মচারীদের সরানো সম্ভব হয়নি। ভারতীয় বিমান হামলায় আদমজীতে ব্যাপক হতাহত হয়। আদমজী শিল্প কারখানায় কর্মরত অবাঙালী শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তারা অস্র ব্যতিত রাজাকারের দায়িত্ব পালন করে আসছিল।