০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি
ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিপুল হর্ষধনি ও করতালির মধ্যে সকাল দশটা পয়তাল্লিশ মিনিটে পার্লামেন্টে এই ঘোষণা দেন। সংসদে দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশন প্রধান সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়ার পরপর আনন্দ প্রকাশের জন্য সংসদ মুলতবী ঘোষণা করা হয়।
ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত/ মিশন প্রধান হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীও লোকসভায় বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীকে মাল্যভূষিত করেন এবং অভিনন্দন জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের এই স্বীকৃতির সমালোচনা করে বলেন এতে দুই দেশের সমস্যা আরও অবনতি ঘটলো।
সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ডেনমার্ক সফররত সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি। মস্কোয় নিযুক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রদূত জামশেদ মার্কার সোভিয়েত মন্তব্বের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন।
ব্রিটেন বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতে দেয়াতে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে।
স্বীকৃতির সংবাদে পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পূর্ব পাকিস্তানে দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পরে। ফলে এই দিনে প্রায় বিনাযুদ্ধে অনেক এলাকা থেকে পাকবাহিনী সরে যায়। ফলে এই দিনে একটি জেলা সহ ৬টি মহকুমার পতন হয়।