৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ – কামালপুর ফ্রন্ট
ভারতীয় কম্যান্ড দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে পত্র বাহককে পাকিস্তান বাঙ্কারে পাঠালে সেখান থেকে তারা কতক শর্ত আরোপ করে। শর্ত গুলো হল তাদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধ বন্দীর মর্যাদা প্রদান। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর কাউকে না রাখা। আত্মসমর্পণ এর পরপর তাদের ভারতে পাঠানোর বেবস্থা করা। তাদের সাথে থাকা মহিলা ওয়ারলেস অপারেটরকে তাদের সাথেই রাখা ইত্যাদি। তারা তাদের রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি জানিয়ে দেয়। সে ফ্রিকুয়েন্সিতে পরে তারা বাকী দেন দরবার করে আত্মসমর্পণ চূড়ান্ত করে। গ্যারিসন অফিসার ক্যাপ্টেন আহসান মালিকসহ ৩১ বালুচের নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্যের ১৬০ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল মেজর জেনারেল আই এস গিল ব্রিগেডিয়ার হরদেভ ক্লের সেক্টর কমান্ডার উইং কম্যান্ডার হামিদুল্লাহ খান,ক্যাপ্টেন আজিজ,লেঃ মান্নান। এদের ১০ টি ট্রাকে করে কমুনিকেশন জোন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। কামালপুরের সকল যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের ২৯ জনকে বিভিন্ন খেতাব দেয়া হয় যার মধ্যে ৩ জন বীর উত্তম, ৮ জন বীর বিক্রম বাকীরা বীর প্রতীক খেতাব পান। পক্ষান্তরে ভারতীয় পক্ষে ১ জন মহাবীর চক্র দু একজন বীর চক্র এবং পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন আহসান মালিক ও ৩১ বালুচ সিও লেঃ কঃ সুলতান সিতারা ই জুরাত খেতাব লাভ করেন।