You dont have javascript enabled! Please enable it!

৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ ভারত

পার্লামেন্টের যৌথ সেশনে ইন্দিরা গান্ধী

পার্লামেন্টের যৌথ সেশনে ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন বাংলাদেশের/পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে দেশ দখল বজায় রাখার জন্যই পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে। তিনি বলেন ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে এবং তার দেশ সব সময় চায় ভারতীয় পেনিনসুলা শান্তিতে থাকুক। ভারত পাকিস্তান আক্রমন করেছে পাকিস্তানের এরকম প্রোপাগান্ডা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি দেশের সং হতি ও স্বাধীনতা রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। পার্লামেন্টের এ সভায় জরুরী আইন জারী অনুমোদন করা হয়। অধিবেশনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জগজীবন রাম বলেন পাকিস্তানী ভূখণ্ড দখল বা ভারতের সাথে যুক্ত করার কোন ইচ্ছাই ভারতের নেই। (চীন রেডিও)

জনসংঘ

পাকিস্তানের আক্রমনের পর দিল্লীর রামলীলা ময়দানে জনসংঘ এক জনসভা আহ্বান করে। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী বক্তব্য দেন। তিনি জরুরী অবস্থা জারীকে সমর্থন জানিয়ে বলেন পাকিস্তানের আগ্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে তিনি তার দলের সমর্থন পাবেন। তিনি জনগণকে সরকারকে সহযোগিতারও আহবান জানান। তিনি বলেন ভারত আগ্রাসী পাকিস্তানকে রুখে দিবে। জনসভায় প্রায় দুলাখ লোকের সমাগম হয়। বাজপেয়ী বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তার আহবান জানান তিনি বলেন সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ পৃথক একটি জাতি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন আমি ভারতীয় বাহিনীর শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে জানি বিজয় আমাদের খুবই নিকটবর্তী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন তার দেশ পাক ভারত পরিস্থিতি জাতিসংঘে উপস্থাপন করবে না। ভারত ইতিপূর্বে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তবে তার দেশ ভারতে পাকিস্তানের হামলার বিষয়ে অবগত করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্যকেও পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। বিদেশে ভারতীয় কূটনীতিকদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই সাথে তাদের সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। পর রাষ্ট্র সচিব দিল্লীতে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেছেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!