You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.02 | অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তৎপরতা - সংগ্রামের নোটবুক

০২ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তৎপরতা

মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড ইউসিপি নেতা নুরুল আমিন এর সাথে দেখা করেছেন। এদিকে গুঞ্জন রটেছে নুরুল আমীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। জাতীয় পরিষদের ২৭ ডিসেম্বরের আসন্ন অধিবেশনে যোগ দিতে পিডিপি এর নবনির্বাচিত (উপ নির্বাচনে) এমএনএ আবদুল জব্বার খদ্দর (নোয়াখালী), মোঃ নূরুল্লাহ ( চট্টগ্রাম) ও মশিউল ইসলাম পশ্চিম পাকিস্তান যান। প্রাদেশিক মন্ত্রী জসিমউদ্দিন আহমদসহ বেশ কয়েকজন এমএনএ বিমান বন্দরে তাদেরকে বিদায় জানান। আওয়ামী লীগের ৩০ জন সদস্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন বলে মিডিয়া গুলো সংবাদ প্রকাশ করে।
পুনর্বাসন মন্ত্রী সামশুল হক চট্টগ্রামে জেলা পরিষদ ভবনে এম এন এ এম পি এ শান্তি কমিতি গণ্যমান্য বেক্তিদের এক সমাবেশে বলেছেন ভারত যে শরণার্থীদের ফিরে আসতে দিচ্ছে না পূর্ব পাকিস্তানে তার হামলাতেই সে ষড়যন্ত্র প্রমান হয়ে গেছে।
বন পশু ও সমবায় মন্ত্রী অং শু প্রু চৌধুরী —- রাজাকার শান্তি কমিটির সদস্যদের এক সমাবেশে বলেছেন ভারতীয় আক্রমনে মাতৃভূমি রক্ষার্থে সেনাবাহিনীর পিছনে দাঁড়ানোর জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তানের জনগন এক পাকিস্তানে ঐক্যবদ্ধ তারা দেশের বিচ্ছিন্নতা চায় না।
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারনে ৬ দলের প্রাদেশিক সভা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও নেতারা অত্যধিক বেস্ত রয়েছেন। তবে বৈঠক না হলেও তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি আসন ছাড়া সবাই প্রার্থী তা প্রত্যাহার করে নিবেন। ফলে নির্বাচনের আর প্রয়োজন হবে না।
নোটঃ স্বাধীনতার পরে নুরুল্লাহ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের দ্বৈত নাগরিক ছিলেন এবং দুই দেশেই রাজনীতি করেছেন।