You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৯ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ ডাউকি ফ্রন্টে যুদ্ধ

৫/৫ গুর্খা(লেঃ কঃ রাও), ডাউকি সাবসেক্টর ট্রুপস (সুবেদার মেজর এআর চৌধুরী) এবং ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে মেজর সাফায়াত জামিলের কম্যান্ডে লেঃ নুরুননবী এর কোম্পানী প্লাস রাধানগর আক্রমণ করে। দীর্ঘ কয়েকঘন্টা ধরে এবার রাধানগর ও ছোটখেল মুক্ত করে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাক সৈন্যদের লাশ বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়েছিল। একটি বাঙ্কারে ৪ মহিলার লাশ পাওয়া যায়। পলায়নের সময় তারা তাদের হত্যা করে। এ অবস্থান থেকে প্রচুর অস্র গোলাবারুদ রেশন পাওয়া যায় যা দু তিন মাস যুদ্ধ করার রসদ। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের আনন্দে খড়ের গাদায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এতে তাদের আরেক বিপদের মুখে ফেলেছিল। পাক বাহিনী একটু দূরে যেয়ে আবার গ্রুপিং করে। তারা রাতে আগুনের আলোকেই মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান গণ্য করে আবার গুলি করতে থাকে। সাফায়েত জামিল এ সময় একটি পাক বাঙ্কার চেক করতেছিলেন। এসময় বুলেট বিদ্ধ হন সাফায়েত জামিল। পর দিন রাওয়ালপিন্ডির সরকারী মুখপাত্র রাধানগর পতনের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন। এ ছাড়া ব্রিফিং এ তিনি প্রায় বলতেন সিলেটে তাদের কিছু ভূখণ্ড হাতছাড়া হয়েছে। কসবা, সাতক্ষীরার ৩ থানা, ফেনীর ২ থানা পঞ্চগড়ের ২ থানার কথা তারা ডিসেম্বরের প্রথম দিক ছাড়া স্বীকার করেনি।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!