ত্রাণ এসেছে ৩০ মিলিয়ন ডলার। বাজেট ঘাটতি এখনো ৬০ কোটি রুপী।
ইন্দিরার প্রেস কনফারেন্স। দৈনিক স্টেটসম্যান, ১৮ জুন ১৯৭১
নয়া দিল্লি. ১৭ জুন, মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার সাথে সাথে শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে ভারতের সংকল্পের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। UNI এর রিপোর্ট। “আমি শুধু তাদের ফেরত পাঠাতে যাচ্ছি’ – অর্থনৈতিক সম্পাদকদের এক সভায় তিনি একথা বলেন।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মিসেস গান্ধী প্রধানত পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের অন্তঃপ্রবাহ ভারতের উপর “বোঝা” হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন। এত অল্প সময়ে এই ধরনের বিশাল বোঝা বহন করা যে কোন দেশের জন্যই কঠিন।
.
মিসেস গান্ধী স্বীকার করেন ভারতের এই শরণার্থীদের জন্য একটি বড় অংকের অর্থ খরচ করতে হবে। এগুলো পরিকল্পনা কমিশন ও অন্যান্য বিভাগের দ্বারা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার উপরও এটা নির্ভর করে। এ পর্যন্ত ভারত মাত্র ৩৬ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছে।
মিসেস গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিনি আর্থিক দৈন্যতার কারণে পরিকল্পিত ৬০ কোটি রুপি বাজেট ঘাটতির জন্য এবং আন্তর্জাতিক মহলের অংশিদারিত্ত বাবদ উদ্বাস্তুদের জন্য কোন সহায়তা চাইবেন কিনা?
মিসেস গান্ধী বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এটা শুরু করেছি। একটি প্রোগ্রাম কাজ করছে। “
তিনি এই ব্যাপারে ভারতের প্রেসের ভূমিকায় জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতি ভারতের মনোভাবে কোনো পার্থক্য আসবেনা। শুরু থেকে ভারত একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে আসছে। “আমি নিশ্চিত যদি সব বিশ্বশক্তিগুলোর প্রয়োজনীয় চাপ আগে থেকে দেয় তবে এটা(বন্দোবস্ত) সম্ভব হতে পারে। কিন্তু মনে হয় সে আশা সুদূর পরাহত।
মিসেস গান্ধী বলেন যতটুকু জানা যায় একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তি শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আওয়ামী লীগের সদস্য যারা সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তারা চায়। “তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল”, বলেন তিনি।