বঙ্গবন্ধু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি থানায় সরকারী দোকান করতে চেয়েছিলেন
#কনজিউমার_কর্পোরেশন
শেখ সাহেবের সাথে তাঁর সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি লক্ষ্য করতাম, সবসময় তাজউদ্দীন সাহেব তাকে পূর্ণ সমর্থন দিতেন। শেখ সাহেব যদি বলতেন কোন কিছু করতে হবে, সেটা তাজউদ্দীন সাহেব যেভাবেই হােক অবশ্যই করতেন। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলছি, রাজনৈতিক বিষয় আমি জানি না। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কনজিউমার্স করপােরেশন করতে চাইলেন প্রতি থানায় । এমনকি আরাে নিচু স্তরেও কনজিউমার্স করপােরেশন করবেন। সেখানে সরকারি দোকান হবে এবং সেই দোকানে সরকার জিনিস বিক্রি করবে সস্তায়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, ‘স্যার, সমস্ত দেশে লাখ লাখ দোকান আছে। সেখানে সরকারি একটা দোকান কিছুই করতে পারবে না। বরঞ্চ এতে মারাত্মক বেশি রকমের প্রশাসনিক খরচ হবে। করতে চান আপনি একটি পাইলট স্কীম করেন, সমস্ত জেলা শহরগুলােতে। যদি এটা সফল হয় তবে সাব-ডিভিশনে, তারপর থানায়। একবারে থানায় গেলে তাে আপনাকে বিরাট খরচের যােগান দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, না এটা আমার প্রস্তাব। আমি এটা করতে চাই।’ তাজউদ্দীন সাহেব কিন্তু আমাকে সমর্থন করলেন না। তিনি বললেন, ‘নেতা যখন বলছেন তখন আমাদের করতেই হবে।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থন দিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য এই প্রকল্পটি ফলপ্রসূ হয়নি।
(১০.২.১৯৯৯)
মতিউল ইসলাম : সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ সচিব।
Reference: তাজউদ্দীন আহমদ – আলোকের অনন্তধারা