You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.08 | বাঙলাদেশ-এর লড়াই সমগ্র জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম- কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের বিবৃতি | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

বাঙলাদেশ-এর লড়াই সমগ্র জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের বিবৃতি
(স্টাফ রিপাের্টার)

কলকাতা, ৭ এপ্রিল সর্বশ্রী ভবানী সেন, রুপেন সেন, ইন্দ্রজিং গুপ্ত, মহম্মদ ইলিয়াস, আবদুর রাজ্জাক খান এবং এ, এম, ও, গণি আজ নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেন :
“বাঙলাদেশে বসবাসকারী জনতার ওপর পাকিস্তানের সামরিক শাসকচক্রের নৃশংস অত্যাচার ইতিহাসে তুলনাহীন। এমনকি সাধারণ মানবিকতাবােধ থেকে ঐ বিধ্বস্ত দেশের জনগণকে সাহায্য কর উচিত। ধর্মনির্বিশেষে আমরা সকল ভারতীয়দের কাছে আবেদন করছি যে, আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য এবং বাচার জন্য দরাজ হাতে সাহায্য করুন। তাদের সংগ্রাম সামরিক শাসকচক্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রাম, পাকিস্তানের কোন অংশের অধিবাসীর বিরুদ্ধে এই সংগ্রাম নয়। বর্তমান সামরিক শাসক চক্রের বর্বরােচিত দমনপীড়নই বাঙলাদেশকে উপরােক্ত কাজ করতে বাধ্য করেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভােটাধিকারের ভিত্তিতে জাতীয় পরিষদে একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও প্রথম পরিষদ ডাকার অধিকার থেকে এবং নির্বাচকমণ্ডলীর রায়কে পরিষদের সামনে পেশ করার সুযােগ থেকে বঞ্চিত করে তখন অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উপরােক্ত পন্থা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। এটা সমগ্র জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কোন বিশেষ সম্প্রদায় বা গােষ্ঠীর বিরুদ্ধে এটা পরিচালিত হয়।
“আমরা ভারতের অ-বাঙালী জনসাধারণকে, বিশেষতঃ মুসলমানদের, এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি জনগণের যে কোন অংশের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সদা প্রহরারত এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ রােধে ঐ পার্টি সাফল্য অর্জন করছে।”
“যেহেতু ভারতবর্ষে সকল সম্প্রদায় ও জনগণের সকল অংশ বাঙলাদেশ’-এর জনগণের প্রতি তাদের সহানুভূতি ও সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন, মুসলমান এবং অপরাপর অ-বাঙালীদের মনে কোন সংশয় থাকার কারণ নেই। এই প্রশ্নে এদেশে যে অভিনব জাতীয় সর্বসম্মতি বিরাজমান, অবশ্যই এই গ্যারান্টি যে ভারতের জাতীয় সংহতিকে কোন উপায়েই ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।”

সূত্র: কালান্তর, ৮.৪.১৯৭১