২৭ নভেম্বর ১৯৭১ঃ আন্তজার্তিক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র চার্লস ব্রে পাক ভারত উত্তেজনা প্রশমনে রাশিয়ার কাছে তার দেশের উদ্বেগ এর কথা জানিয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিদানের জন্য পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্সন সরকারের অনুরোধের যে কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে তিনি দৃঢ়ভাবে তার সত্যতা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন ভারত সরকারের প্রস্তাব ছিল শেখ মুজিবের মুক্তির পর ইয়াহিয়া মুজিব বৈঠকের মাধ্যমে যুদ্ধ পরিহার করা। যুক্তরাষ্ট্র পাক ভারত সমস্যা নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা বিষয়ে তিনি বলেন উহা অনেক বিকল্পের একটি। তিনি বলেন এ বিষয়ে তার দেশ কয়েকটি দেশের সাথে গোপন শলাপরামর্শ করে আসছে। পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন উহা সত্য নয়।
৫ বৃহৎ শক্তি লন্ডন থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ টি দেশ পরিষদের অধিবেশন ডাকার যৌক্তিকতার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছে। ভারত বা পাকিস্তান কেহই এখনও পরিষদের অধিবেশন আহবান করার কোন অনুরোধ জানায়নি। ৫ বৃহৎ শক্তি প্রকাশ্য কিছু করছে না তারা পর্দার আড়ালে কাজ করতে পছন্দ করেন। অধিবেশন আহবানের ব্যাপারে তারা নীরব।
জাতিসংঘে আগা শাহী
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে জানান ভারত ইতিমধ্যে সংঘর্ষের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির নিকট পত্র দিলেও আজ তা স্বীকার করেন। তখন তিনি পত্রে দুইটি হামলার কথা লিখেছিলেন। তখন ভারত সেই আক্রমনে ফিল্ড গান এবং ট্যাঙ্ক ব্যাবহার করে। আগা শাহী বলেন ইন্দিরা নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান হতে আলাদা করতে চান। তিন বলেন ভারত বিদ্রোহীদের সকল প্রকার সাহায্য দিচ্ছে। ভারত সীমান্তে রিজার্ভ সহ লক্ষাধিক সৈন্য সমাবেশ করেছে। সীমান্ত এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সাজ্জাদ হায়দার
ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত সাজ্জাদ হায়দার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরন সিং এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন। আলোচনার বিষয়বস্তু জানা যায়নি।
ইরান
ইরানের প্রধানমন্ত্রী আমীর আব্বাস হোবায়দা যুগোস্লভিয়া সফরে পাক ভারত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশ এক যুক্ত বিবৃতিতে দুই দেশের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের আহবান জানান।