You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৩। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সফল হবে – প্রধানমন্ত্রীর আশা প্রকাশ দৈনিক স্টেটসম্যান ১৬ মে ১৯৭১

 

১৫ মে ১৯৭১ ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশর সংগ্রাম বৃথা যাবে না, ভারতের সম্পদ সীমিত হলেও শরনার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। এবং এই দায় রাজ্যের নয় – বরং কেন্দ্রীয় সরকারের। অন্যদিকে, পাকিস্তান ভারতে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা উসকে দেয়ার প্রয়াস নিচ্ছে – এই ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

বাংলাদেশর সংগ্রাম বৃথা যাবে না – প্রধানমন্ত্রী

 

আগরতলা, ১৫ মে: প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, আজ আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম বৃথা যাবেনা। তারা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা এবং তার থেকে গণতান্ত্রিক সরকার অর্জন করবেন।

 

মিসেস গান্ধী, এখান থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মোহনপুরে একটি বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ভারত পূর্ববাংলায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হলে তাকে স্বাগত জানাবে এবং তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে।

 

ভারতের মত পূর্ব বাংলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে মানুষ তাদের নিজস্ব সরকার গঠন করতে পারেনাই যা তাদের দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে সাহায্য করবে।

 

সম্পদের সীমাবদ্ধতা

 

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ভারত এবং পূর্ব বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করবে এবং তারা নিজেরাই তাদের নিজ নিজ জাতির স্বার্থে সাম্প্রদায়িকতার বিষকে আশ্রয় দেবেনা।

 

মিসেস গান্ধী বলেন; ‘ আমাদের ভাই ও বোন যারা ভারতে এসেছে তাদের সাহায্য করতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু আমাদের  সম্পদ সীমিত “।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ছিল, কিন্তু এখন  এটি ভারতের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

শরনার্থিদের সাহায্য করার অবর্ননীয় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শরণার্থীদের প্রবল অনুপ্রেবেশ দেশের অর্থনীতির উপর একটি ভয়ানক বোঝা হবে। কিন্তু এটি ভারতের কোন নির্দিষ্ট রাজ্যের  উদ্বেগ না – এটি পুরো দেশের জন্যই চিন্তার বিষয়। তাই কেন্দ্র সরকার এই  দায়িত্ব বহন করবে।

 

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই মানুষগুলো তাড়াতাড়ি তাদের দেশের শান্তি পুনরুদ্ধার করতে পারবে  এবং তাদের নিজস্ব সরকার গঠন করে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে সক্ষম হবে।

 

ত্রিপুরায় মিসেস গান্ধী নরসিংগড়, মোহনবাড়ি এবং সিমনাতে শরনার্থি ক্যাম্পের ব্যক্তিদের খাদ্য ও জীবনযাপনের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

 

এর আগে আসামের শিলচর-এর কাছাকাছি উধারবন্দের একটি শরণার্থী শিবিরে মিসেস গান্ধী বলেন, বাংলাদেশের এবং ভারতের জনগণ এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একত্রে যথাসাধ্য সবকিছু করবে।

 

মিসেস গান্ধী শরনার্থিদের দুঃখের কাহিনী মনোযোগ দিয়ে শোনেন।

 

উধারবন্দ শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২৫০০০ শরনার্থি আছে।

 

মিসেস গান্ধী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ভারতে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা উসকে দেয়ার প্রয়াস নিচ্ছে। এজন্য মানুষকে  সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!