২৬ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পশ্চিম পাকিস্তান নেতৃবৃন্দ
মাস্টার খান গুল
বেআইনি ঘোষিত আ’লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি পশ্চিম পাকিস্তানী নেতা মাস্টার খান গুলকে এদিন পেশোয়ার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বেশ কয়েকবার বিবৃতিতে শেখ মুজিবের মুক্তি দাবি করে আসছিলেন। তার এরুপ আচরনে কাইউম মুসলিম লীগ নেতা খান আব্দু কাইউম তার গ্রেফতার দাবি করেছিলেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নিষিদ্ধ
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এদিন এক ঘোষণায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এর মধ্যেই ন্যাপের কতিপয় নেতাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দলটি পাকিস্তানের স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করছিলো। শুরু থেকেই এ দলের কিছু নেতা পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করে এবং এরা কোনো দিন পাকিস্তানকে মেনে নিতে পারেনি। এদের প্রতিটি কর্মী পূর্ব-পাকিস্তানে নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বর্তমানে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গাফ্ফার খানকে তিনি ঘোরতর পাকিস্তানবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করে বলে, এই ব্যক্তিটি কখনোই পাকিস্তান বিরোধিতা থেকে বিরত হয়নি এবং বর্তমানেও সে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
জুলফিকার আলী ভূট্টো
রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবনে পিপিপি প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলীর ভূট্টোর সাথে ইয়াহিয়া খানের বহুল প্রতীক্ষিত সভা হয়েছে। প্রথমে তারা একক ভাবে বৈঠক করলেও পরে উভয় পক্ষে উপদেষ্টা সহ বৈঠক করেন। বৈঠক টানা ৩ ঘণ্টা চলে। সভা শেষে ভূট্টো বলেন তিনি দু এক দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট এর সাথে আবার বসবেন। তিনি বলেন সরকারে অংশ নিয়ে এখন চিন্তা করছি না এখন বিদেশী হামলা প্রতিহত নিয়েই ব্যাস্ত আছি। ভূট্টোর সাথে ছিলেন হাফিজ পীরজাদা, মাহমুদ আলী কাসুরি, রফি রাজা, খুরশিদ হাসান মীর। ইয়াহিয়া পক্ষে ছিলেন লেঃ জেঃ পীরজাদা, এমএম আহমেদ, শরিফউদ্দিন পীরজাদা, কর্নেল হাসান । ইয়াহিয়ার সাথে বৈঠকের পর জুলফিকার আলী ভূট্টো ইউপিআইটিএন এর সাংবাদিক রুলে কার্টারের সাথে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দেন।