সায়েম রাষ্ট্রপতি, মোশতাক আউট, জিয়ার আকস্মিক ভাষণ, নতুন রাজনৈতিক দল খোলার রাজনীতি
৪। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট। জেনারেল সফিউল্লাহকে হটিয়ে জিয়াউর রহমান প্রধান সেনাপতির পদ দখল করেন। ১৯৭৫ সনের ৩০শে আগষ্ট সামরিক ক্ষমতার বলে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘােষিত হয়।
৫। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ৫০ দিন পর ৩রা অক্টোবর ‘৭৫ লায়লাতুল কদরের পরম পবিত্র রাতে স্বঘােষিত প্রেসিডেন্ট খুনী খন্দকার মােশতাক : আহমদ জাতির উদ্দেশ্যে রেডিও টেলিভিশনে ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণে ১৯৭৬ সনের ১৫ই আগস্ট থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা ও কাজকর্মের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ১৯৭৭ সনের ২৮শে ফেব্রুয়ারী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা ঘােষণা করে।২
৬। ৩রা নভেম্বর খালেদ মােশাররফ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।
এবং তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মােহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন করেন। খন্দকার মােশতাক সামরিক ফরমান বলে প্রেসিডেন্ট পদটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭৫ সনের ৬ই নভেম্বর প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়ে বিচারপতি সায়েম জাতির উদ্দেশে এক ভাষণ দেন। ভাষণে তিনিও জাতির সামনে দ্ব্যার্থহীনভাবে ঘোষণা করেন যে, ১৯৭৭ সনে পূর্বঘােষিত ফেব্রুয়ারী মাসেই জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনকি, সম্ভব হলে তার পূর্বেও নির্বাচন সম্পন্ন করার সংকল্প ব্যক্ত করেন। শুধু তাই নয়, ৭ই মার্চে সংঘটিত ঘটনাবলীর পরেও প্রেসিডেন্ট সায়েম পুনরায় জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা দৃঢ়তার সঙ্গেই ঘােষণা করেন। ১৯৭৫ সনের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত অপর এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট সায়েম জোর দিয়ে বলেন “বর্তমান সরকার অন্তবর্তীকালীন, অরাজনৈতিক এবং সম্পূর্ণ দল নিরপেক্ষ সরকার। সরকারের লক্ষ্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা”।
৭. ১৯৭৬ সনের ২৮ শে জুলাই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক রাজনৈতিক দলবিধি জারী করেন। রাজনৈতিক দলবিধি জারী করার পূর্বেই ২৭শে জুলাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মােহাম্মদ সায়েম ১৫ই আগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করার ঘােষণা দেন এবং পূর্ব ঘােষিত ১৯৭৭ সনের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা পুনরায় জোর দিয়ে বলেন। একই সাথে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি সায়েম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৮ জন নেতার ও উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক মেজর জেনারেল জিয়ার উপস্থিতিতে একথা বলেন।৩
৮। সরকারী সংবাদ সংস্থা বাসস পরিবেশিত খবরে বলা হয়, উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক তৎপরতা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন, তা থেকে সর্বসম্মত কিছু মত বেরিয়ে এসেছে যা সুষ্ঠু রাজনৈতিক আবহাওয়া ও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়। এই সভায় নির্বাচনের মাধ্যমে অতিসত্ত্বর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সরকারও নিজেদের নিরপেক্ষ ও অন্তবর্তীকালীন সরকার বলে যে ঘােষণা করেছে এবং সে ঘােষণার মর্যাদা রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।৪
৯। ২৮শে জুলাই সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে একটি ঘােষণা প্রচার করা হয় যে, রাজনৈতিক দল সমূহের গঠনতন্ত্র, তালিকা, ঘােষণা পত্র এবং কর্মসূচী সরকারের নিকট পেশ করার উদ্দেশ্যে আগামী ৩০শে জুলাই হতে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির কার্যক্রম ঘরােয়া রাজনৈতিক তৎপরাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এই সরকারী বিধি ১৯৭৬ এর চতুর্দশ অনুচ্ছেদের (১) উপ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতা বলে সরকার এই বিজ্ঞপ্তি জারী করেছেন।
১০. লক্ষ্য করা গেল, কড়া সামরিক শাসনের মধ্যে প্রেস সেন্সরশীপ আছে সত্বেও সরকারী প্রশ্রয়ে স্বাধীনতা বিরােধী গােষ্ঠী ঘরােয়া রাজনীতির নামে দেশের সংবিধানের মৌলনীতির বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। এমনকি, প্রেস কনফারেন্স ডেকে সংবিধানের মূলনীতির বিরুদ্ধে প্রদত্ত বক্তব্য অদৃশ্য রহস্যজনক কারণে কিছু কিছু সংবাদপত্রে ছাপা হওয়া শুরু হয়েছে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও লক্ষ্য সংবিধানে উল্লেখিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।৫
১১. এক সময় ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ধারায় ছাত্রসংগঠন গড়ে তুলে দলীয় শক্তি বৃদ্ধির প্রাথমিক রিক্রুটমেন্ট হিসেবে ছাত্র সংগঠনকে বিবেচনা করা হতাে। ১৯৭৬ সালে সামরিক ফরমান বলে জিয়াউর রহমান ‘পলিটিক্যাল পার্টি রেগুলেশনস’ (পি পি আর) এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলােকে তাদের অংগ সংগঠনের নাম দলের সঙ্গে তালিকাভূক্ত করার নির্দেশ জারী করে। এর পূর্ব পর্যন্ত রাজনৈতিক দল সরাসরিভাবে অঙ্গ-সংগঠগুলােকে নিয়ন্ত্রণ করতাে না। জিয়ার আমলে পি,পি,আর-এর মাধ্যমে অঙ্গ-সংগঠনগুলােকে যুক্ত করার ফলে ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব মূল দলের উপরে এস পরে। ছাত্রদের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে টেনে আনা হয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১২. প্রথম থেকে লক্ষ্য করা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি সায়েমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়া যেন সমান্তরালভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য এবং সামরিক শক্তির বদৌলতে জনগণ উপলদ্ধি করতে সক্ষম হলাে শাসনতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক প্রশাসক যতই ক্ষমতাবান ব্যক্তি হন না কেন, মূল শক্তি জিয়াউর রহমান ও তার সেনাবাহিনী। তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। বিচারপতি সায়েম তার হাতের পুতুল মাত্র। কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির মাধ্যমে জিয়া তার ক্ষমতা জনগণের নিকট উলঙ্গভাবে প্রদর্শন করতে পেরেছে বিচারপতি সায়েম যথার্থ অর্থেই অন্তবর্তী কালীন সরকারের ভূমিকায় পার্লামেন্ট পদ্ধতির প্রতিশ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কার্পণ্য করেননি। ১৯৭৫ সনের ২২শে নভেম্বর রাজনীতিক প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী নিযুক্ত করেন যাতে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যােগাযোগ ও পরামর্শ করে নির্ধারিত সময়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারেন।
১৩। ২৫ ও ২৬ নভেম্বর ‘৭৫ এ উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ও তার সহকারীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংলাপ শুরু হয়। এর পাশাপাশি ২৪শে নভেম্বর রাত ১২টায় আকস্মিকভাবে মেজর জেনারেল জিয়া যে ভাষণ দেন তার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কোন সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় না। যে সময় প্রয়ােজন রাজনৈতিক সমঝােতা ও ঐক্য – যা প্রেসিডেন্ট উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সে সময় জিয়াউর রহমান আইয়ুব খানের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দলকে দোষারােপ করে চরম ভাষায় কথা বলেন। [পরিশিষ্ট-৩]
১৪. ঘরােয়া রাজনীতির সুবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পর্যালােচনা করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল সরকারী নির্দেশের আওতায় একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছিল। রাজনৈতিক দলবিধি অনুযায়ী পুরাে আগস্ট মাস রাজনৈতিক তৎপরতা সীমিত থাকবে ঘরােয়া বৈঠকে। রাজপথে ময়দানে জনসভা, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দলের গঠনতন্ত্র, মেনিফেষ্টো দলিল দস্তাবেজ সহ দলগঠনের প্রক্রিয়া অগ্রসর হয়েছে। সামরিক সরকার রাজনৈতিক দলবিধির আওতায় যে সব দলের অনুমতি দেবেন তারা সেপ্টেম্বর হতে পুরােদস্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পালন করতে এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। রাজনৈতিক দল বিধিতে বহু কড়াকড়ি শর্ত ছিল। বিদেশী অনুপ্রেরণায় বা অর্থে কেউ দল গঠন করতে পারবে না। দলের নেতা দেশের নিরাপত্তা বা জনশৃংখলার পক্ষে ক্ষতিকর কোন কাজ করতে পারবে না। দলের অর্থ তহবিল আয় ব্যয়ের উৎস প্রকাশ করতে হবে। কোন গােপন সংগঠন বা সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন বা রাখা যাবেনা। এক দল আরেক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে পারবে না। সরকারী অনুমতি পাওয়ার পর কোন দল এ-ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে বা বিধি লংঘন করলে সরকার সে দলকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।(পরিশিষ্ট-৪)
১৫. রাজনৈতিক দলবিধির শর্তাবলী কড়াকড়ি ছিলাে। ছিলাে অঘােষিত ধমক। যদিও বলা হয়েছিলাে সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু করার জন্যেই এই দলবিধি। রাজনৈতিক দল বিধিতে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় যে কথা বলা হয়েছিলাে তা ছিলাে অস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট। সামরিকশাসন জারীর থাকার প্রেক্ষিতে কতিপয় ধারা স্থগিত থাকলেও দেশের সংবিধানের মৌলনীতি নিয়ে স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবােধ নিয়ে তখন পর্যন্ত কোন বির্তক ছিলােনা। জাতীয়তা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র সংবিধানের এই চার মৌলনীতি তখন পর্যন্ত সংবধানে সন্নিবেশিত ছিলাে। তখন পর্যন্ত সংবিধান হতে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারা বিলুপ্ত করা হয়নি।
১৬. এমন অবস্থায় রাজনৈতিক দলবিধি জারীর মাধ্যমে সংবিধান বর্ণিত ৪ মূলনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিমালার মধ্যেই দলগঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিলাে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় এই যে, রাজনৈতিক দল গঠনকে সামনে রেখে কোন নেতা নতুন দল বা পুরনাে দলের পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে দলের আদর্শ ও উদ্দেশ্য কর্মসূচীর আকারে এমন কিছু কিছু বক্তব্য বাজারে প্রচার করেছে যা দেশের সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী। সংবিধানের মূলনীতিগুলিতে স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা আকাঙ্খার প্রতীকরূপে অলংঘনীয়তার দাবীদার। সংবিধান সংশােধনের ফলে সাবেক দলগুলির পুনরুজ্জীবন সম্ভব হলেও সংবিধানে বর্ণিত জাতীয় আদর্শ পরিপন্থী কোন দল গঠন করা যায়না। রাজনৈতিক দলগুলির লক্ষ্য ও ঘােষণাপত্র, কর্মসূচীকে রাজনৈতিক দলবিধির সাথে সাথে সংবিধানে উল্লেখিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল বিধিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বিধান না থাকায় স্বাধীনতা বিরােধী জামাত মুসলিম লীগ নেজামে ইসলামী ইত্যাদি দলকে মাঠে নামানাের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে এই সব স্বাধীনতা বিরােধী ব্যক্তিবর্গ প্রকাশ্যই যে ধরনের বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে, তা সংবিধানের লংঘন।
১৭. ১০ই আগষ্ট ‘৭৬ বিকেলে পাকিস্তানী দালাল ও স্বাধীনতার বিরােধী চক্রের অন্যতম হােতা শফিকুর রহমানের বাসায় সাবেক নেজামে ইসলামী, সাবেক জামাতে ইসলামী, সাবেক পিডিপি ও সাবেক খেলাফতে রব্বানী পার্টির এক যৌথ ঘরােয়া বৈঠকে পাকিস্তানী দালাল মওলানা সিদ্দিক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ‘ইসলামী আদর্শের’ ভিত্তিতে দল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় স্বাধীনতা বিরােধী সৈয়দ আজিজুল হক নান্না মিয়া ও জামাতের মওলানা আবদুর রহিমকে যুগ্ম আহবায়ক করে কমিটি গঠিত হয়। স্বাধীনতা বিরােধী শান্তি কমিটির নেতা সাদ আহমদকে আহবায়ক করে গঠনতন্ত্র ও মেনিফেস্টো কমিটি গঠন করা হয়। এর পাশাপশি আইয়ুব মােনায়েমের দালাল রসরাজ মন্ডলও তফশিলী জাতীয় ফেডারেশন পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এইভাবে রাজনৈতিক দলবিধি জরীর মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল গঠনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়া হলাে।
Reference: জেনারেল জিয়ার রাজত্ব – অধ্যাপক আবু সাঈদ