You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৫ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পূর্ব পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ

খাজা খয়ের উদ্দিনের সভাপতিত্বে এদিন কেন্দ্রীয় শান্তিকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতীয় হামলার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পাকিস্তান রক্ষায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভারতের নগ্ন হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব শক্তির বিশেষ করে মুসলিম দেশ গুলির প্রতি আহবান জানানো হয়। খয়ের বলেন পাকিস্তানের ১২ কোটি জনতা ভারতের হামলা রুখে দেয়ার জন্য শেষ বিন্দু রক্ত বিসর্জন দেবে। ভারত যদি এখনই তাদের নিবৃত্ত না করে ১২ কোটি পাকিস্তানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে সামিল হবে তখন যুদ্ধ হবে ভারতের মাতইতে।
শিক্ষামন্ত্রী ও জামাত নেতা আব্বাস আলী এক বিবৃতিতে ভারতীয় আক্রমনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকল শ্রেণীর নাগরিকের প্রতি আহবান জানান। একথা নিসন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত যে ভারত মুক্তিবাহিনীর ছদ্দাবরনে পূর্ব পাকিস্তান দখলের উদ্দেশেই আক্রমন চালাচ্ছে।তিনি জনগনকে কোনরূপ গুজবে কান না দিয়ে নাশকতামুলক তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য আহবান জানান।
প্রাদেশিক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আখতার উদ্দিন জানান, দেহের রক্ত দিয়ে পাকিস্তানের জনগণ মাতৃভূমি রক্ষায় কাজ করবে। তথাকথিত ‘বাঙালি মুক্তির’ মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওবায়দুল্লাহ মজুমদার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে আকাশবাণীর শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে জনগণকে এর বিভ্রান্তকারী প্রচারণা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে।
তথ্যমন্ত্রী মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে যে, ভারত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের ভূমিতে সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে।
ভারতীয় হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন পূর্ব-পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের জেনারেল সেক্রেটারি এএনএম ইউসুফসহ ৭ জন নেতা।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!