You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৩ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি (কুমিল্লা সেক্টর বাদে)

উত্তর পশ্চিম সেক্টর
পাকিস্তানী সংবাদ মাধ্যম বলছে ভারত পশ্চিম সীমান্তে আরও সৈন্য সমাবেশ করছে এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের রায় বেরিলি থেকে ৬ ডিভিশন দিনাজপুর রংপুরের বিপরীতে মোতায়েন করা হয়েছে। ৯ ও ৭১ ডিভিশনকে রংপুরের উত্তরে মোতায়েন করা হয়েছে।
(মুক্তি বাহিনী ভাষ্য) গত দুদিনে অমরখানা যুদ্ধের সাফল্য লাভের পর মুক্তিবাহিনী ও ভারতের ১২ রাজপুতানা রাইফেলস যৌথভাবে জগদ্দল হাট আক্রমন করে কিন্তু তা দখলে ব্যার্থ হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৩০ জন হতাহত হয়।
যশোর সেক্টর
(পাকিস্তানী ভাষ্য) ভারতীয় (৯ ডিভিশন ও ৪৫ কেভেলরী) বাহিনী যশোর বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ভারী গোলাবর্ষণ করছে। তারা মরিয়া হয়ে যশোরের দিকে অগ্রসরের চেষ্টা করছে কিন্তু পাক বাহিনী তাদের অভিযান এ দিনেও সম্পূর্ণ ব্যার্থ করে দিয়েছে। ভারতীয়রা না পেরে এখন বিক্ষিপ্ত আক্রমন করে যাচ্ছে। যশোরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিমানযোগে একদল বিদেশী সাংবাদিক প্রেরন করেছে।
সরকারের মুখপাত্র দুটি ভারতীয় নেট জঙ্গি বিমান ধ্বংসের সংবাদ প্রকাশ করেছে। (প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান দুটি সেবর জেট হারায় যা পাকিস্তান অন্য ভাবে স্বীকার করেছে)মুখপাত্র বলেন ভারতীয় বিমান বাহিনী ৩০ মাইল ভিতরে মাগুরায় বোমাবর্ষণ করে এতে কয়েকজন নিরীহ লোক মারা যায়। এখন পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী যশোর এবং সিলেটে কিছু এলাকা দখল করে রেখেছে। মুখপাত্র বলেন এখনও বেনাপোল তাদের দখলে আছে। তিনি বলেন যশোর ট্যাঙ্ক হামলার উপযোগী হওয়ায় ভারতীয় বাহিনী ট্যাঙ্ক ব্যাবহার করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন ভারতের যে ১৮ টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে তা চৌগাছার ভিতরে এবং এলাকাটি তাদের দখলে থাকায় তাদের তা দেখানো সম্ভব হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম
২৩ ডিভিশন চট্টগ্রামে প্রবেশের চেষ্টা কালে পাক বাহিনী দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিমানযোগে রশদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!