You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৩ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ পশ্চিম পাকিস্তানে জামাতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ

( গোলাম আজমদের পূর্ব পাকিস্তানে শেষ দিন) এদিন জামাতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশ্যে জামাতের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রধান মাওলানা আবদুর রহিম, পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম, পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের সহকারী প্রধান এ.কে.এম. ইউসুফ ও পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক পশ্চিম পাকিস্তান গমন করেন। এখানে তারা ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় পরিষদে জামাতের পার্লামেন্টারি পার্টির ভূমিকা এবং পূর্ব-পাকিস্তানের সমস্যাবলী নিয়ে নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করবেন।

জামাতের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে লাহোরে পৌঁছে পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম বলেন সাংবাদিকদের বলেন আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ কৌশল অবস্থানে থাকলে শত্রুরা আরও উদ্যমশীল উৎসাহী ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। বর্তমান অবস্থায় আক্রমণাত্মক ভুমিকা গ্রহন করাই হবে আত্মরক্ষার সর্বোত্তম ব্যাবস্থা। পূর্ব পাকিস্তানে শান্তি রক্ষার উদ্দেশে সকল দেশপ্রেমিক শান্তি কমিটির সদস্য, রেজাকারদের আরও উন্নতমানের ও স্বয়ংক্রিয় অস্র সজ্জিত করার জন্য তিনি দাবি জানান। তিনি ইয়াহিয়ার সাধারন ক্ষমার নিন্দা করে বলেন এর ফলেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টোকে উদ্দেশ্য করে গোলাম আজম বলেন প্রধানমন্ত্রীর পদ পাওয়ার জন্য ভুট্টো দলীয় রাজনীতি করছেন। বর্তমান সঙ্কটে তিনি দেশে জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষপাতী। তিনি বলেন দুষ্কৃতিকারীরা এখন অনেক উন্নত অস্র পেয়েছে।
লাহোর বিমান বন্দরে একই সময়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আসার সময় ছিল ফলে সেখানে বিপুল সংখ্যক জামাত ও পিপিপি সমর্থক উপস্থিত ছিল। তারা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।

নোটঃ তাদের শেষ সফর ছিল। ক্ষমতার লোভে তারা সেখানে অবস্থান করছিল। ১৬ ডিসেম্বরের আগে আর ফিরেন নি।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!