You dont have javascript enabled! Please enable it!
১৫ আগস্ট সকালে রক্ষীবাহিনীর একজনের আত্মহত্যা
 
খন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠান শেষ হবার পরপর GCS ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ আমাকে জানায় যে সাভারের JRB হেডকোয়ার্টারে একটি বড় ঘটনা ঘটেছে। সংক্ষেপে যা বলল তা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার খবরে একজন রক্ষী (রক্ষীবাহিনীর সৈন্য) আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এটা খুব গুরুতর একটি সমস্যা হিসেবে দাঁড়াতে যাচ্ছে। তাই এটি অত্যন্ত দ্রুত এবং নমনীয়তার সাথে সমাধা করতে হবে। পরে আমি জানতে পেরেছিলাম যে, খন্দকার মোশতাকের উপদেষ্টারা (মেজর রশিদ, মেজর ফারুক ও মেজর ডালিম ইত্যাদি) তাকে বলেছে যে একমাত্র জেaনারেল শফিউল্লাহ এই পরিস্থিতি শান্ত করতে পারবে। তাই শপথ গ্রহণের পর খন্দকার মোশতাক আমাকে সাভার গিয়ে রক্ষীদের সাথে কথা বলতে বললেন।
সাভার গিয়ে রক্ষীদের সাথে কথা বলা ছাড়া আমার আর কোন অপশন রইল না। সেদিন বিডিআর এর ডিজি ব্রিগেডিয়ার (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল) খলিলুর রহমানও আমার সাথে সাভার গিয়েছিলেন। সাভার রক্ষীবাহিনীর সদরদপ্তরের পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর ছিলো। সেখানে পৌঁছানোর পর রক্ষীবাহিনীর দুই ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব আনোয়ারুল আলম (শহীদ) এবং জনাব সারোয়ার মোল্লা আমাদের রিসিভ করে। সামরিক অভ্যুত্থান হঠাৎ করে হওয়ায় রক্ষীরা স্তব্ধ গিয়েছে। তাদেরকে বিভ্রান্ত ও বিষণ্ণ মনে হচ্ছিলো। তারা বুঝতে পারছিলো না কী করবে। ওইধরনের উত্তেজনাকর পরিবেশ এবং বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার করুণতম সংবাদের আতিশয্যে রক্ষীদের একজন নিজের অস্ত্র দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। এই ছেলেগুলোর মানসিক প্রেরণা এত শক্তিশালী ছিলো যে সেই মুহুর্তে নিজের জীবন নিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেনি। তাই সে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে।
রক্ষীবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে তাদের অফিসারদের বক্তব্যের পর আমি এবং ব্রিগেডিয়ার (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল) খলিলুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে তাদের সামনে বক্তব্য দিলাম এবং তাদেরকে শান্ত থাকতে বললাম। সম্ভবত এতে কাজ হয়েছিলো।
Translated by – সংগ্রামের নোটবুক
Reference: 15th August A National Tragedy Major Gen K M Safiullah BU PSC
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!