You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.08.15 | প্রফেসর নুরুল ইসলাম - বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আলোচনায় কম উচ্চারিত একটি নাম - সংগ্রামের নোটবুক
প্রফেসর নুরুল ইসলাম – বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আলোচনায় কম উচ্চারিত একটি নাম
 
প্রফেসর নুরুল ইসলাম ছিলেন ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার। সেই হিসেবে তারও কিছু দায়িত্ব ছিলো। ১৫ আগস্ট ‘৭৫ তারিখে শুধু আমাকে একটা ফোন কল করলেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না। ১৫ আগস্ট যা হয়েছিলো সেটি ছিলো ফোর্সের অসন্তোষের চরম বহিঃপ্রকাশ।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার হিসেবে এই অসন্তোষ দূর করার মত অবস্থানে তিনি ছিলেন। কিন্তু সেটাকে দমন না করে তিনি ক্যান্সারের মত আরও ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি ডেপুটি চীফ মেজর জিয়ার সাথে মিলে আর্মিকে অর্গানাইজ করার প্রক্রিয়াকে শেষ পর্যায়ে এনে আটকে রেখেছিলেন। এভাবে ফোর্সে ক্ষোভ বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। তিনি কি সময়মত TO&E এপ্রুভ করতে কোন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? সেটি করলে আর্মিতে কোন অসন্তোষ থাকতোনা। আফসোস, তাকে দোষ দেবার সময়টাও পেরিয়ে গেছে। আগস্ট ‘৭৫ এর পরেই কোন ধরণের পরিবর্তন ছাড়া ডিফেন্স মিনিস্ট্রি TO&E পাশ করে। দ্বিতীয়ত, জুলাই ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার সামনে প্রফেসর নুরুল ইসলামকে বলেছিলেন অতি সত্বর জেনারেল জিয়াকে চাকরী থেকে সরাতে। কিন্তু কোন একশন না নিয়ে প্রফেসর নুরুল ইসলাম উল্টো বঙ্গবন্ধুকে কনভিন্স করলেন যেন জেনারেল জিয়াকে সেপ্টেম্বর ‘৭৫ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। (প্রফেসর নুরুল ইসলামের লেখা আর্টিকেল এই তথ্যের রেফারেন্স।) তিনি কার উদ্দেশ্য হাসিল করছিলেন? কতোটা দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা! যদি প্রফেসর নুরুল ইসলাম আকজে জীবিত থাকতেন তবে আমি জিজ্ঞেস করতাম আপনি কেন বঙ্গবন্ধু কর্তৃক জিয়াকে সরিয়ে দেবার নির্দেশ তখন পালন করেননি? আপনি কার পারপাস সার্ভ করেছেন?
 

ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার প্রফেসর নুরুল ইসলাম তার লেখায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আর্মি চীফ কে বিদ্রোহী দমনের নির্দেশ দিয়ে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন তিনি চীফের সাথে কথা বলেছিলেন তিনি জানতেন যে প্রেসিডেন্ট ততোক্ষণে মারা গিয়েছেন। (এটা তিনি তার নিজের লেখায় লিখেছেন।) এটা খুব ইন্টারেস্টিং যে বিদ্রোহীরা কাজ সেরে ফেলার পরে তিনি তাদেরকে দমন করার নির্দেশ দিচ্ছেন – তার আগে নয় কিন্তু! এটা সেই কথা সম্পর্কে বলছি যেটার কথা তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন। তিনি কি পথের কাঁটা সরে যাবার জন্য অপেক্ষা করছিলেন? যখন তিনি চীফের কাছে অভিযোগ করছিলেন পরিস্থিতি তখন একদম এলোমেলো এবং আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটা কোন ছোট ঘটনা নয়। সাধারণ কেউ নয় – প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এতোই খারাপ। সেই পরিস্থিতি থেকে সবকিছু স্বাভাবিক করা সহজ নয়।এটা ভুললে চলবে না যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আর্মি ক্ষমতা নেয়নি। বরং রাজনৈতিক লোকেরাই সরকার গঠন করেছে। এবং সেই সরকারে প্রফেসর নুরুল ইসলাম ছিলেন কেবিনেট মিনিস্টারদের একজন।

Translated by – সংগ্রামের নোটবুক
Reference: 15th August A National Tragedy Major Gen K M Safiullah BU PSC